কেন্দ্রীয় বাজেট ২০১৬-১৭ : আগে থেকে জেনে নিন এই জিনিসগুলি
এদিন সংসদে দ্বিতীয়বারের জন্য পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সংস্কারে গতি আনবেন না মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাবেন, কোনটা হতে চলেছে এবারের বাজেটে। এবারের বাজেটের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন একঝলকে।
আয়করে ছাড়
সাধারণ মানুষকে ব্যাপকভাবে সুবিধা করে আয়কর ছাড়ের বিষয়টি। ফলে এই বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে আয়করের ঊর্ধ্বসীমা ফের কিছুটা বাড়াতে পারেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
বিনিয়োগে ছাড়
সামাজিক প্রকল্পের উপরে বিশেষ করে যা গ্রামকেন্দ্রিক, তার উপরে বিশেষ আর্থিক বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা করতে পারেন অরুণ জেটলি। একইসঙ্গে তাঁকে বিদেশি বিনিয়োগপতিদের মন জয় করতে হবে। সেজন্য সংষ্কারের প্রশ্নে ও বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অধিক কর্মী প্রয়োজন এমন ক্ষেত্র যেমন লেদার শিল্প, গহনা শিল্প ইত্যাদির বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর ছাড় দিতে পারেন।
বাড়তি অর্থিক বোঝা
সপ্তম পে কমিশনের পরামর্শ মানলে এবারের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতনের জন্য অতিরিক্ত ১ লক্ষ ২ হাজার কোটি টাকা বেশি গুনতে হবে সরকারকে। অরুণ জেটলির ঘোষণা অনুযায়ী এবছরের আর্থিক ঘাটতিকে ৩.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা তাঁর। সেই কথা তিনি রাখতে পারেন কিনা সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ।
কর্পোরেট ট্যাক্স
গতবছরের দাবি অনুযায়ী কর্পোরেট ট্যাক্সের মাত্রা ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে আনার কথা অরুণ জেটলির। এই বাজেটেও তার প্রতিফলন দেখা যেতে চলেছে।
পরোক্ষ কর
খরচের সঙ্গে তাল মেলাতে আয় বাড়ানো প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে পরোক্ষ কর বাড়াতে বা নতুন কোনও কর যোগ কর যোগ করতে পারেন জেটলি। এছাড়া গতবারের পরিষেবা কর ১৪.৫ শতাংশ বাড়াকে আরও বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করতে পারেন জেটলি।
স্টার্টআপে ছাড়
ডিজিটাল ইন্ডিয়া বা স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার মতো উদ্যোগকে দিনের আলো দেখাতে নতুন কর বেঁধে দিতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ঠিক যেভাবে গতবারের বাজেটে স্বচ্ছ্ব ভারত প্রকল্প জায়গা করে নিয়েছিল।
বিনিয়োগ ক্ষেত্রের পুনর্জীবন
বিনিয়োগ ক্ষেত্রের পুনর্জীবন জেটলির বাজেটের মূল অ্যাজেন্ডা হতে চলেছে। মূলধনী ব্যয় ২০১৫-১৬ সালে ২৫.৫ শতাংশ বেড়েছে গতবারের তুলনায়।
গ্রামীণ কর্মসংস্থান
গ্রামীণ কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য এবারের বাজেটে নতুন কিছু সংযোজন করতে পারে মোদী সরকার। তারই প্রতিফলন দেখা যাবে এবারের বাজেটে।