প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন শারীরিকভাবে অক্ষম দম্পতি
প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন শারীরিকভাবে অক্ষম দম্পতি
ভোট দেওয়া যে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে সেটাই প্রমাণ করে দেখালেন এই দম্পতি। যদিও তাঁরা নির্বাচন কমিশনের ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডার নন, তাও মহারাষ্ট্রের কাছে তাঁরাই আসন অনুপ্রেরণা। দেবশঙ্কর এবং পান্না, এই দম্পতি সব ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড়ো ভোট উৎসব সামিল হয়েছেন।
সোমবার ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মুম্বইয়ে জুহুর ভোটকেন্দ্রে হাজির দেবশঙ্কর এবং তাঁর স্ত্রী পান্না। দু’জনেই শারীরিকভাবে অক্ষম। কিন্তু তাও পোলিং বুথের অফিসারদের কাছ থেকে কোনও সাহায্য চাননি তাঁরা। বরং শেষ ২০ বছরের মতনই এবারও ভোট কেন্দ্রে তাঁরা হেঁটে গিয়ে নিজেদের মূল্যবান ভোটটি দিয়ে এসেছেন। প্রতিটি বুথেই শারিরীকভাবে অক্ষমদের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। কিন্তু এই দম্পতি কোনও সাহায্য না চেয়ে পোলিং বুথের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে। ভোট দিয়ে বাইরে এসে ওই দম্পতি নিজেদের আঙুলে কালি দেখিয়ে হাসিমুখে ছবিও তোলেন। দৃঢ় মানসিকতাকে যে কোনওভাবেই আটকানো সম্ভব নয়, তা তাঁদের অদম্য মনোভাব দেখলেই বোঝা যায়।
#WATCH Mumbai: Specially-abled husband & wife leave after casting their vote at a polling booth in Juhu. #MaharashtraAssemblyPolls pic.twitter.com/0pzMP0kZ7V
— ANI (@ANI) October 21, 2019
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অনুসারে, প্রত্যেকটি পোলিং বুথে শারীরিক দিক দিয়ে অক্ষমদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। হেল্প ডেস্ক, সিগনেজ, প্রথম তলে বোলিং বুথ, পোলিং বুথ চত্ত্বরে বাধা নেই এমন সরল রাস্তা, র্যাম্প, বিশেষ ধরনের শৌচালয়, পানীয় জল, আলাদা প্রবেশ ও প্রস্থানের জায়গা, উজ্জ্বল আলো, ব্রেইল ব্যালট, ব্রেইল ইভিএম, হুইল চেয়ার, বুথ ভলেন্টিয়ার সহ আরও অনেক সুবিধা রেখেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার মহারাষ্ট্রে বিজেপি–শিবসেনার জোট 'মহায়ুতি’ বনাম কংগ্রেস–এনসিপির 'মহা–আগাধি’র চূড়ান্ত লড়াই হচ্ছে। ২৩৫ জন মহিলা সহ ৩,২৩৭ জন প্রার্থী দাঁড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে। নির্বাচন কমিশন ৯৬,৬৬১টি পোলিং বুথের ব্যবস্থা করেছে। ২৪ অক্টোবর ফল ঘোষণা হবে।