মাল্যর ঋণ নিয়ে কোনও তথ্য নেই! জবাব মোদী সরকারের
শিল্পপতি বিজয় মাল্যর ঋণ সংক্রান্ত কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনকে এমনটাই জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
শিল্পপতি বিজয় মাল্যর ঋণ সংক্রান্ত কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনকে এমনটাই জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রধান তথ্য কমিশনার আরকে মাথুর অর্থমন্ত্রককে জানিয়েছেন, রাজীব কুমার খারের করা আরটিআই নির্দিষ্ট সংস্থার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
অর্থমন্ত্রকের অফিসাররা বলতে পারতেন, মাল্যকে দেওয়া বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য নেই। অথবা ঋণ নিতে গিয়ে যে গ্যারান্টি মাল্য দিয়েছিলেন তা তাদের কাছে নেই। কিন্তু সংসদে অর্থমন্ত্রকের তরফে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছিল।
১৭ মার্চ, ২০১৭-তে অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার মাল্য সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে সংসদে বলেছিলেন, ২০০৪-এর সেপ্টেম্বরে মাল্যকে ঋণ দেওয়া হয়েছিল। যার পর্যালোচনা করা হয়েছিল ২০০৮-এর ফেব্রুয়ারিতে।
২০০৯ সালে ৮০৪০ কোটি টাকার এই ঋণকে অপ্রচলিত সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১০ সালে এই ঋণের পুনর্গঠন করাও হয় বলেও জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
২১ মার্চ রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার জানান, অনলাইন নিলামের মাধ্যমে ১৫৫ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ১৭ নভেম্বর, ২০১৬-তে রাজ্যসভার বিতর্কে জানান, এই ঋণের বিষয়টি উত্তরাধিকার সূত্রে এনডিএ সরকার পেয়েছিল ইউপিএ সরকারের কাছ থেকে।
যদিও তথ্য জানার অধিকার আইনে মাল্যর ঋণ নিয়ে রাজীব কুমার খারের করা আবেদন কোনও গুরুত্বই পেল না।
খারেকে অর্থমন্ত্রক থেকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল, আরটিআই অ্যাক্টের বিশেষ ধারার জন্যই মাল্যর ঋণ সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া যাবে না।