লকডাউনের ধাক্কা সামলে দেশের অর্থনীতিতে সাহায্য করবে এই পাঁচ রাজ্য
লকডাউনের ধাক্কা সামলে দেশের অর্থনীতিতে সাহায্য করবে এই পাঁচ রাজ্য
করোনা সংক্রমণের জেরে দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। আর এই পরিস্থিতিতে দেশের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠতে পারে এই পাঁচ রাজ্য। এলারা সিকিউরিটি ইঙ্কের সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় লকডাউন ধীরগতিতে ওঠার ফলে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য এই পাঁচটি রাজ্য থেকে দেশিয় উৎপাদনে প্রায় ২৭ শতাংশ অবদান রাখতে পারে। এই পাঁচটি রাজ্য হল কেরল, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা ও কর্নাটক।
লকডাউনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠবে এই পাঁচ রাজ্য
এই সমীক্ষায় যুক্ত গরিমা কাপুর একটি লেখায় জানিয়েছেন, তাড়াতাড়ি লকডাউনের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার অবস্থায় রয়েছে এই পাঁচ রাজ্য। সব রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবহার, গণ পরিবহণ, পাইকারি বাজারে পণ্যের জোগান এবং গুগল মোবিলিটি ডেটা পর্যালোচনা করে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এমনিতে মহারাষ্ট্র, গুজরাতের মতো শিল্পের সংখ্যায় এগিয়ে থাকা রাজ্যগুলিতে কোভিড-১৯ মহামারি বড় আকারে দেখা দেওয়ায় তারা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।
৮ জুন আরও কিছুটা সহজ হবে লকডাউন
দেশজুড়ে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হলেও ধীরে ধীরে তা শিথিল হতে শুরু করে এবং ৮ জুন এই লকডাউনের আওতায় থাকা অনেক কিছুর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। যে সব এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সেখানে শপিং মল, রেস্তোরাঁ এবং ধর্মীয় স্থানগুলিও পুনরায় চালু করে দেওয়া হবে। গরিমা কাপুর বলেন, ‘দেশ কতটা লকডাউনের ক্ষত সারিয়ে উঠবে সেটা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি শুরু হলে তবেই বোঝা যাবে। এখন যে অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে সেটা বিক্ষিপ্ত ছবি।'
দুই রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে
রিপোর্টে বলা হয়েছে, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে ইতিমধ্যেই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। এটাই কলকারখানায় উৎপাদন শুরু হওয়ার বড় লক্ষণ। রাজধানী দিল্লিতেও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। সমীক্ষার জন্য ‘গুগল সার্চ ট্রেন্ডস'ও পর্যালোচনা করা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে ধীরে ধীরে মানুষের চাহিদা বদলাচ্ছে। মানুষ নতুনভাবে জীবনকে দেখতে শিখছে। এখন দেখা যাচ্ছে, বেশি করে সালোন সার্ভিস, এয়ার কন্ডিশনার, এয়ার ট্রাভেল, মোটরবাইক, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, ওয়াশিং মেশিনের সার্চ হচ্ছে।
মানুষ এখনও অনেক জিনিসের খোঁজ থেকে বিরত রয়েছে
লকডাউন যখন প্রথম শুরু হয়েছিল তখন মানুষ আতঙ্কে ওষুধ ও মুদিখানার জিনিস ও হ্যান্ডওয়াশ-স্যানিটাইজারের খোঁজ শুরু করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত ল্যাপটপ, ইয়ারফোন, মোবাইল ফোন, জুয়েলারি, মাইক্রোওভেন ইত্যাদির জন্য সেভাবে সার্চ শুরু হয়নি।গরিমা কাপুর বলেন, ‘আসন্ন মাসগুলিতে দেখা যাক মানুষের আর কোন কোন জিনিসের ওপর চাহিদা জন্মায়।'
কাশ্মীরে ফের বড় সাফল্য সেনার! পুলওয়ামায় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট তিন জইশ জঙ্গিকে খতম করল সেনা