দেশের মোট করোনা আক্রান্তের ৫৬ শতাংশ এই আটটি শহর জুড়ে রয়েছে
দেশের মোট করোনা আক্রান্তের ৫৬ শতাংশ এই আটটি শহর জুড়ে রয়েছে
কোভিড–১৯ মহামারির সঙ্গে ভারত ক্রমাগত লড়ে চলেছে। তবে দেশের মোট করোনা ভাইরাস কেসের ৫৬ শতাংশ কেসের খোঁজ মিলেছে এই আটটি শহরে। বৃহস্পতিবার (৭ মে) সকাল পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫২,৯২৫ ও এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৫,২৬৭ জন ও মারা গিয়েছে ১,৭৩৮ জন, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে মুম্বই ও দিল্লি
দেশের মোট সংক্রমণের ২০ শতাংশ মহারাষ্ট্রের মুম্বই থেকে। এই রাজ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, মোট ১৬,৫৭৮ জন, রাজ্যে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৩,০৯৪ ও মৃত্যুর হার ৬৫১। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি ১১ শতাংশ নিয়ে। দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৫৩২ জন, যার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১,৫৪২ জন ও ৬৫ জনের মৃত্যু।
তৃতীয় ও চতুর্থতে আহমেদাবাদ ও পুনে
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে আহমেদাবাদ, এখানে দেশের মোট আক্রান্তের ৯ শতাংশ রয়েছে। গুজরাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৬৫২, যার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১,৫০০ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৩৯৬ জনের। চতুর্থ স্থানে ফের জায়গা করে নিয়েছে মহারাষ্ট্রের শহর পুনে। দেশের মোট কোভিড-১৯-এর কেসের মধ্যে ৪ শতাংশ এই শহরে। এরপর পঞ্চম স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই। এখানে ৪ শতাংশ কেস রয়েছে মোট সংক্রমণের মধ্যে। তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৮২৯টি, যার মধ্যে ১,৫১৬ জন সুস্থ হয়েছে ও ৩৫ জন মারা গিয়েছে।
ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টমে রয়েছে ইন্দোর, থানে ও জয়পুর
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহর ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে। এখানে দেশের মোট আক্রান্তের ৩ শতাংশ কেস আছে। এ রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩,১৩৮ জন, যার মধ্যে মৃত্য হয়েছে ১৮৫ জনের। সপ্তম স্থানে ফের জায়গা করে নিয়েছে মহারাষ্ট্রের শহর থানে। এখানে মোট আক্রান্তের তিন শতাংশ রয়েছে। অষ্টম স্থানে রয়েছে রাজস্থানের জয়পুর শহর। দেশের মোট করোনা আক্রান্তের মধ্যে ২.৫ শতাংশ রয়েছে এই শহরে। এই রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৩১৭ ও ৯২টি মৃত্যু।
আটটি শহর মূল চাবিকাঠি
এই আটটি শহর কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের মূল চাবিকাঠি হিসাবে রয়েছে কারণ এটি করোনার বক্ররেখাকে সমতল করার আশা দেখায়। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে এখনও দেশ গোষ্ঠী সংক্রমণের স্তরে প্রবেশ করেনি। করোনার সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে তৃতীয় দফার লকডাউন।
ইপিএফও-তে রেজিস্টার করার নতুন নিয়ম! কি বলছে নতুন নির্দেশিকা?