জানেন কি? বিশ্বের তাবড় ধনী ব্যক্তিদের সম্পদকেও হার মানাবে ভারতের এইসব মন্দিরের সম্পত্তি!
জানেন কি? বিশ্বের তাবড় ধনী ব্যক্তিদের সম্পদকেও হার মানাবে ভারতের এইসব মন্দিরের সম্পত্তি!
প্রতিটি পদে পদে রহস্যের মায়াজালে ঢাকা আমাদের দেশ ভারত। আর আসমুদ্রহিমচলের বিশ্বাসের আধার হলেন সেই সকল ঈশ্বররা, যাঁদের সামনে মাথা নত করেন সকল মানুষ। এমনকি মনের ইচ্ছা পূরণ হলে টাকা-পয়সা, সোনা-দানা কিংবা বহুমূল্য দান দিতেও পিছুপা হননা ভক্তরা। ভারতের সাধারণ নাগরিকদের গড় ধন-সম্পত্তি যাই হোক না কেন, ভারতের একাধিক মন্দিরে বিরাজমান ভগবানদের সম্পত্তির পরিমাণ জানলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। দেখে নেওয়া যাক ভারতের এমন কিছু ধনী ঈশ্বরদের, যাঁদের সম্পত্তি হার মানাবে দুনিয়ার তাবড় কোটিপতি আরবপতিদেরও।
তিরুপতির শ্রীভেঙ্কটেশ্বর, অন্ধ্রপ্রদেশ
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে নীল পর্বতের মাঝে অবস্থিত তিরুপতি ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের উপাস্য দেব বালাজি শুধুমাত্র তাঁর নামের জন্য নয়, তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পদের জন্যও পৃথিবী বিখ্যাত। অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলায় অবস্থিত এই মন্দির ভারতের ধনীতম মন্দির হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, এই মন্দির স্বয়ং ব্রিটেনের রানির সমগ্র সম্পত্তির প্রায় আড়াই গুণ বেশি। এবং ভ্যাটিকানের পোপের সম্পত্তি থেকেও কিছু বেশি বলে জানা যায়। এই মন্দিরে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর বা বালাজি ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি স্থাপিত রয়েছে। ১লা জানুয়ারী, ২০২১ থেকে ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত অর্থাৎ মাত্র ১ বছরে ৮৩৩ কোটি টাকা অনুদান জমা হয়েছে বালাজির দানপাত্রে। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের ট্রাস্টে এই মন্দিরের ৯ হাজার কেজি সোনা রয়েছে। এর মধ্যে ৭২৩৫ কেজি সোনা দেশের ২টি ব্যাংক এবং ১৯৩৪ কেজি সোনা ট্রাস্টের কাছে রাখা আছে।
শ্রী পদ্মনাভ স্বামী, ত্রিভান্দ্রম
কেরালার তিরুবনন্তপুরম জেলায় অবস্থিত শ্রী পদ্মনাভ স্বামী মন্দির ভারতের দ্বিতীয় ধন-সম্পদশালী মন্দির হিসেবে খ্যাত। এই মন্দিরের তলায় অবস্থিত সুবিশাল রত্নভান্ডার আবিষ্কার হয়েছে গত কয়েক বছর আগেই। যেখানে রয়েছে রয়েছে সোনা, হীরা-জহরত, রত্ন ইত্যাদি মহা মূল্যবান সামগ্রী। এবং এটির সম্পদ প্রায় ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১,৪৮,৬৮১ কোটি টাকারও বেশি।
সাই বাবা, শিরডি
'সবকা সাই এক' কথা বলা হয় মহারাষ্ট্রের শিরডি শহরে অবস্থিত সাই বাবাকে সম্মান জানিয়ে। এই মন্দিরটি দেশের তৃতীয় ধনীতম মন্দির হিসেবে চিহ্নিত। এই মন্দিরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩২ কোটি টাকার সোনা, ৪৪২৮ কেজি রূপা এবং প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা রাখা রয়েছে।
বৈষ্ণো দেবী, জম্মু
ভারতের উত্তরে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত বৈষ্ণো দেবীকে মহাশক্তির রূপ বলে মনে করা হয়। হাজার হাজার ভক্তরা সারা বছর ধরে বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে যান এবং মায়ের সামনে মাথা নত করেন। প্রতি বছর এখানে অনুদানের আকারে ৫০০ কোটিরও বেশি টাকা আসে।
শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক মুম্বই
দেশের অন্যতম বিখ্যাত মন্দির হল শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির। লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলক এই মন্দিরের আধুনিকীকরণ করেছিলেন। এই মন্দিরের গড় বার্ষিক আয় প্রায় ৪৮ কোটি থেকে ১২৫ কোটি টাকা। সেইসঙ্গে পুরো মন্দিরটি সোনা দিয়ে নির্মিত। এই বিপুল সোনা কলকাতার এক ব্যবসায়ী দান করেছিলেন।
ছবি সৌ:টুইটার