১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় হচ্ছে ভোট, এটাই বিশ্বের সবথেকে উচু ভোট কেন্দ্র
Array
হিমাচলে চলছে ভোট। ৫৫ লক্ষ ভোটার ভোট দেবেন। ভাগ্য নির্ধারিত হবে রাজ্যের নতুন সরকারে। তবে শীতকালে যেহেতু ভোট হচ্ছে তাই এই সময়ে ভোট দেওয়া একটা বড় সমস্যা উপরের দিকের অঞ্চলে। অনেক জায়গায় এই হিমাচলে এমন সময়ে বরফ পরতে শুরু করে দেয়। এর মধ্যে অন্যতম স্পিতি। আর এখানেই আছে বিশ্বের সবথেকে উচু ভোট কেন্দ্র।
ভোটের সুবিধার জন্য
নির্বাচন কমিশন ভোটের সুবিধার জন্য রাজ্য জুড়ে প্রায় ৭৮৮৪ টি ভোট কেন্দ্র তৈরি করেছে। কয়েকটি অস্থায়ি এমন ভোট দেওয়ার জায়গাও তৈরি করা হয়েছে, কারণ স্পিতির মত উচু স্থানে অনেক জায়গায় নেই ভোট দেওয়ার মত জায়গা। তাই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই ব্যবস্থা করে রাখে নির্বাচন কমিশন।
অন্যতম উচু ভোট কেন্দ্র
অন্যতম উচু ভোট কেন্দ্র রয়েছে লাহুল ও স্পিতির তাশিগাং-য়ে। এর অবস্থান ১৫ হাজার ২৫৬ ফুট উচুতে। এটাই বিশ্বের সবথেকে উচু ভোট কেন্দ্র বলে জানা যাচ্ছে। এখানে আছে মাত্র ৫২ জন ভোটার। এটিকে মডেল ভোট কেন্দ্র হিসাবে দেখানো হচ্ছে। ভোট দেওয়া যাতে বয়স্ক এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের সুবিধা হয় তখন ভোট কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে ওই অত উঁচুতেও।
ভোট কেন্দ্র
লাহুল ও স্পিতিতে মাত্র ৯২টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে জা রাজ্যের নিরিখে সবথেকে কম। আসলে রাজ্যের যে উচু স্থান সেখানে বরফ পড়তে শুরু করে দিয়েছে, কারণ এটা নম্ভেম্বর মাস। এই সময়ে তুষারপাত খুব স্বাভাবিক। এবার বেশি তুষারপাত হলে দুড়ে যদি ভোট কেন্দ্র হয় তখন ওই বরফ ভেঙে ভোট দিতে যাওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু এই ভোট দেওয়া মানুষের অধিকার। সেটা করনোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সেই উদ্দেশ্যেই যেখানে ভোটার কেন্দ্রে যাতে মানুষ ভোট দিতে যেতে পারে তাই এই সুউচ্চ স্থানেও একটি ভোট কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
ছাম্বা হল একটি প্রত্যন্ত জেলা সেখানে ভোটার আছে ১৪৫৯টি। বারমৌরের ২৬ চাসক ভাতোরি ভোট কেন্দ্র এসি হল সবথেকে প্রত্যন্ত ভোট কেন্দ্র। এখানে ১৪ কিলোমিটার হেঁটে ভোট দিতে আসতে হয় মানুষকে।
হিমাচলপ্রদেশে ভোট
সবমিলিয়ে ৬৮টি আসনে ভোট হবে হিমাচলপ্রদেশে। সেখানে ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৪১২ জন প্রার্থীর। এর মধ্যে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। ভাগ্য নির্ধারণ হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের ছেলে বিক্রমাদিত্য সিংয়ের।
এদিকে বিজেপি এখানে ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছে। অনেক সমস্যা থাকলেও সমীক্ষা বলছে হিমাচলে ফের পদ্ম ফুটতে চলেছে। আর সেটা যদি হয় তাহলে এক নতুন নজির গড়বে বিজেপি , কারন এখানে একটি দল একবারের বেশি ক্ষমতায় থাকে না। প্রত্যেক পাঁচ বছরে সরকার বদলে দেয় মানুষ। সেখানে দ্বিতীয় সুযোগ পেতে পারে বলে বিজেপি।