প্রয়োজন পড়বে না ফাইজারের টিকার, সংরক্ষণ নিয়ে আশঙ্কার মাঝেই নতুন বার্তা হর্ষবর্ধনের
খুব সম্ভবত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের আগেই বাজারে আসতে চলেছে ফাইজারের করোনা টিকা। এদিকে উপলব্ধ হলেও তীব্র শীতল হিমঘরে ফাইজারের টিকার সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্নের মুখে ভারতীয় পরিকাঠামো। তাই আমেরিকার পাশাপাশি গোটা বিশ্বে এই টিকা মিললেও ভারতে এই টিকার দেখা মিলবে কিনা তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সংশেয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এবার এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতে ফাইজারের টিকা নিয়ে এত চিন্তার কিছু নেই। তা যদিও ভারতীয় বাজারে পাওয়া নাও যায় তাতে আশঙ্কারও বিশেষ কারণ নেই বলে মত তাঁর। কারণ, ইতিমধ্যেই আর পাঁচটি টিকার ট্রায়াল পর্ব চলছে ভারতে। যার মধ্যে তিনটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল রয়েছে চূড়ান্ত পর্বে। এমতাবস্থায় ফাইজারের টিকার সংরক্ষন নিয়ে সওয়ালের পাশাপাশি ওই সংস্থাকে মার্কিন স্বাস্থ্য দফতরের ছাড়পত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলেন হর্ষবর্ধন। এদিকে ডিসেম্বরের মধ্যেই বিশ্ব বাজারে করোনা টিকা আনার কথা জানিয়ে দিয়েছে ফাইজার ও মোডার্না মতো মার্কিন সংস্থাগুলি।
এমতাবস্থায় হর্ষবর্ধনের মতে টিকা পাওয়া গেলেও তা প্রথমে মার্কিনিদেরই দেবে ফাইজার। তাই অন্যান্য দেশে তা পাওয়া য়েতে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। ততদিনে ভারতে ট্রায়ালে থাকা করোনা টিকাগুলিও ছাড়পত্র পেয়ে যাবে বলে মত তাঁর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন অন্যান্য টিকার তুলনায় ফাইজারের টিকার সংরক্ষণে রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়মাবলী। ফলে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে ভালো থাকবে না এই টিকা। যেখান্য অন্য যে কোনও টিকাকে ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসেই স্বচ্ছন্দে সংরক্ষণ করা যায়। এমনকী বিমান মারফত ফাইজারের টিকা অন্যান্য দেশে রফতানির ক্ষেত্রে ওই বিশেষ তাপমাত্রার প্রয়োজন রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা পরিবহনের ঝক্কির কথা মাথায় রেখেই ফাইজার সম্পর্কে আপাতত বিশেষ ভাবতে রাজি নয় ভারত সরকার।

রাজ্যগুলিকে পর্যাপ্ত অনুদান দিচ্ছে না কেন্দ্র! করোনা নিয়ে মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বকেয়ার দাবিতে সরব মমতা