লোকসভা ও বিধানসভায় থাকছে না অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান প্রতিনিধিত্ব
লোকসভা ও বিধানসভায় থাকছে না অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান প্রতিনিধিত্ব
লোকসভা
ও
বিধানসভায়
অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানকে
প্রতিনিধিত্ব
রোধে
এবার
নতুন
বিল
পেশ
সরকারের।
সূত্রের
খবর,
এই
বিল
অনুমোদন
পেলে
ভাঙতে
চলেছে
প্রায়
দীর্ঘ
৭০
বছরের
প্রথা।
এদিকে
লোকসভা
ও
বিধানসভায়
অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান
প্রতিনিধিত্বের
যে
বর্তমান
বিধানটি
রয়েছে
সেটিরও
মেয়াদ
শেষ
হচ্ছে
আগামী
বছরের
জানুয়ারিতেই।
বিরোধিতা করে তৃণমূল
যদিও অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান প্রতিনিধিত্ব রোধের জন্য আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এই বিলটি লোকসভায় উপস্থাপন করেন। তারপরই এই প্রস্তাবিত বিলটির বিরোধিতা করতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়কে। এরফলে অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান সম্প্রদায়কে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।
সম্প্রতি আগামী দশ বছরের জন্য বাড়ে এসসি, এসটি সংরক্ষণ
পাশাপাশি একই সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা বুধবার লোকসভা এবং বিধানসভা গুলিতে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের আরও দশ বছরের জন্য সংরক্ষণের প্রস্তাব বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। সূত্রের খবর, লোকসভা ও বিধানসভা গুলিতে এসসি, এসটি সংরক্ষণ ২০২০ সালের ২৫শে জানুয়ারি শেষ হবে বলে জানা যায়।
অন্যদিকে গত ৭০ বছরে তফসিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির ‘যথেষ্ট অগ্রগতি' দেখতে পাওয়ার জন্যই তাদের সংরক্ষণ আরও দশ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে যুক্তি দেওয়া হয় সরকারি ভাবে। যদিও নির্বাচনী লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এই রূপরেখার বাস্তবায়ন আগামীতে ঠিক কিরকম হবে তা সঠিক ভাবে বলা হয়নি এদিন।
অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের বাদ দেওয়ার কোনও পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি
যদিও এই বিধানের আওতা থেকে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের বাদ দেওয়ার কারণের কোনও পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা এদিন সরকারি ভাবে দেওয়া হয়নি। বিতর্কের মুখে পড়ে আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, "আমি বলতে চাই যে আমরা এ নিয়ে আলোচনা বন্ধ করি নি। সুতরাং, এই বিষয়টি এখন আপাতভাবে উত্থাপন করা ঠিক হবে না"।
রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবি
যদিও এর আগে সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গি জানার পর কংগ্রেস সাংসদ হিবি ইডেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দকে চিঠি দিয়ে সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে "জরুরি হস্তক্ষেপ" চেয়েছিলেন। ওই চিঠিতে তিনি লেখেন "অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায় দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। তারা আমাদের বৈচিত্র্যময় সমাজ সমাজব্যবস্থার এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির প্রস্তাব দেওয়ার বদলে বর্তমানে তাদের সংরক্ষণের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হলে, তাদের সাংবিধানিক অধিকার গুলি কেড়ে নেওয়া হলে তারা সুরক্ষা ও অস্তিত্বই প্রশ্ন চিহ্নের সামনে পড়ে যাবে।"
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি
একই সাথে অল ইন্ডিয়া অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি-ইন-চিফ ব্যারি ও'ব্রায়েন এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, "সংবিধান সংশোধন করার এই কঠোর পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয়েছে তা আমরা আমরা সত্যই বুঝতে পারছি না। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের সম্প্রদায়ের একজন নেতার সঙ্গেও কথা বলা হয়নি, এমনকী কোনও যুক্তিও দেওয়া হয়নি।"