রাজীব গান্ধীর বাড়িতেই ছিল তামিল জঙ্গিদের চর! দাবি প্রাক্তন আমলার
'মাই ইয়ার্স উইথ রাজীব অ্যান্ড সোনিয়া' শীর্ষক বইয়ে তিনি বলেছেন, "আমার মনে কোনও সন্দেহ নেই যে, এলটিটিই-র একজন গুপ্তচর ১০ নম্বর, জনপথের বাড়িতে সেঁধিয়ে গিয়েছিল। অনেককেই পাকড়াও করা হয়েছিল, কারও সাজাও হয়েছিল। কিন্তু আমার মনে হয়, সত্যিটা চাপা দিতে এ সব করা হয়েছিল। রাজীব গান্ধীকে খুনের পিছনে সেই সময়কার অনেক প্রভাবশালী লোক জড়িত ছিল বলে মনে হয়। এদের কেউ হয়তো ওই গুপ্তচরকে সব খবর সরবরাহ করত। ১৯৯১ সালে লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে তখন সোনিয়া গান্ধী ছিলেন আমেঠিতে। মনে হয়, উনিও আমার সঙ্গে একমত হবেন।"
তিনি আরও লিখেছেন, "সেই সময়কার তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে এলটিটিই-র কিছু যোগাযোগ ছিল হয়তো। এলটিটিই সফল হলেও আইবি এবং তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল ভীষ্মনারায়ণ সিং চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিল।" প্রসঙ্গত, রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র সচিব ছিলেন আর ডি প্রধান। এর পর ১৯৯৮-২০০৩ সালে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরে এলটিটিই-র আত্মঘাতী হামলায় মারা যান রাজীব গান্ধী। বিস্ফোরণে তাঁর শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল।