৩৭০ ধারা বাতিলে দ্বিধা-বিভক্ত কংগ্রেস, কী বললেন রাহুল গান্ধী
৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণার পর কংগ্রেসের তরফ থেকে তীব্র প্রতিবাদ ধেয়ে এলেও, বিরোধীদের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। একাধিক অবিজেপি দল মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। এদের মধ্যে অন্যতম মায়াবতীর
৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণার পর কংগ্রেসের তরফ থেকে তীব্র প্রতিবাদ ধেয়ে এলেও, বিরোধীদের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। একাধিক অবিজেপি দল মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। এদের মধ্যে অন্যতম মায়াবতীর দল বিএসপি।
সমর্থন বিরোধীদের
ঘোষণার প্রথম পর্বেই এই নিয়ে মোদী সরকারকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন মায়াবতী। এমনকী চন্দ্রবাবু নাইডু পর্যন্ত মোদীর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। অথচ কয়েদিন আগে পর্যন্ত মোদীকে গদিচ্যুত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এছাড়াও বিজেডি, এমনকী আপ পর্যন্ত সমর্থন জানিয়েছেন মোদীকে।
ধোপে টেকেনি প্রতিবাদ
তাই
সংসদে
তেমন
ধোপে
টেকেনি
গুটি
কয়েক
বিরোধী
দলের
এই
প্রতিবাদ।
কংগ্রেসের
প্রবীণ
নেতা
অভিষেক
মনুসিংভিও
সেকথা
স্বীকার
করে
নিয়েছেন।
তিনি
জানিয়েছেন
বিরোধীদের
মধ্যে
বিরোধিতার
ঐক্যের
অভাবই
মোদী
সরকারকে
৩৭০
ধারা
বাতিলের
পথ
সুগম
করে
দিয়েছে।
এমনকী
কংগ্রেসের
মধ্যেও
এই
নিয়ে
প্রতিবাদের
তেমন
জোরালো
কিছু
দেখা
যায়নি।
মুখ খোলেননি রাহুল
গুলাম নবি আজাদ, পি চিদম্বরম সহ কংগ্রেসের গুটি কয়েক নেতাই এই নিয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন। এমনকী রাহুল গান্ধীকেও এই নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। সোনিয়া গান্ধী অবশ্য মোদী সরকারের এই প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সংসদ কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তাতে বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। উল্টে মোদী সরকারের সুবিধাই হয়েছে।
দিশেহারা কংগ্রেস
দলের অনেকেই রাহুল গান্ধীর এই চুপ করে থাকাটা মেনে নিতে পারছেন না। যদিও রাহুল লোকসভা ভোটের পরেই দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। নতুন কোনও সভাপতি এখনও নির্বাচিতও হয়নি। এই মুহূর্তে দলের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কোনও কাণ্ডারি নেই। এক কথায় লোকসভা ভোটের ভরাডুবির পর অনেকটাই দিশেহারা কংগ্রেস। নবীন প্রবীণের লড়াইয়ে খেই হারাচ্ছে রাজনৈতিক মতাদর্শ। তাই কংগ্রেসের অন্দরে অনেক সাংসদই মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা না বলাকেই শ্রেয় বলে মনে করেছেন।
কংগ্রেসের ভিতর থেকেই সমর্থন
এঁরাই বাইরে সংসদের বাইরে বেরিয়ে মোদীর সিদ্ধান্তের সমর্থনেই কথা বলেছেন। দলের রোষানলে যাতে এই নিয়ে পড়তে না হয়, তাই ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করারটা তাঁদের একান্তই ব্যক্তিগত মতামত বলে ঢাল তৈরি করে রেখেছেন। জনার্দন দ্বিবেদী, দীপেন্দর হুডা, মিলিন্দ দেওরা, জিভের শেরগিলের মতো কংগ্রেস নেতারা টুইটে ৩৭০ ধারা বিলোপের সমর্থনেই মত প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেসের চিফ হুইপ ভুবনেশ্বর কালিটাতো ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে প্রকাশ্যেই কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন কংগ্রেস এর বিরোধিতা করে নিজেরাই আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। গতকালই তিনি রাজ্যসভা এবং দল থেকে পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছেন।
[আরও পড়ুন: 'ঐতিহাসিক ভুলকে ঠিক করা হল ', কাশ্মীর নিয়ে বিজেপির সমর্থনে একের পর এক কংগ্রেস নেতা ]
[আরও পড়ুন: 'কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার বার্তা কি ফাঁদ ছিল'! ইমরানকে তুলোধনা শরিফ-কন্যার ]