ভারতে কমছে দুধ ও ডালের চাহিদা, উদ্বেগজনক রিপোর্ট
ভারতে কি ডাল, দুধ কিংবা অন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার চাহিদায় কোনও বাধা তৈরি হয়েছে। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকাল অফিস তাদের ২০২৭-১৮ সালের পরিবারের চাহিদা নিয়ে তাদের সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ স্থগিত রেখেছে।
ভারতে কি ডাল, দুধ কিংবা অন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার চাহিদায় কোনও বাধা তৈরি হয়েছে। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকাল অফিস তাদের ২০২৭-১৮ সালের পরিবারের চাহিদা নিয়ে তাদের সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ স্থগিত রেখেছে। তবে এই ধরনের গবেষণায় যুক্ত অন্য সংস্থাগুলির থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, পরিবারগুলিতে ডাল ও দুধের চাহিদা কমেছে।
এমাসের শুরুর দিকে ডাল নিয়ে হওয়া কনক্লেভে অংশগ্রহণকারী দেশগুলির প্রশ্ন, কেন আমরা পর্যাপ্ত ডাল খাচ্ছি না। ভারতে যে ডাল খাওয়ার পরিমাণ কমেছে, তা এনএসও-র একটি রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে।
দেশে ডালের উৎপাদন কমেছে
২০১৩-১৪ থেকে ২০১৮-১৯ সাল -এপ মধ্যে ডালের উৎপাদন বেড়েছে ১৮.৬ মিলিয়ন টন থেকে ২২.৫ মিলিটন টন। এরই মধ্যে ২০২৮-১৯ সালে তা কমেছে ২২.১ মিলিয়ন টনে। ২০১৯-২০ সালে তা আরও কমে হয়েছে ২০.৭ মিলিয়ন টন।
উৎপাদন বাড়াতে নতুন সংস্থা তৈরির ভাবনা
দেশে যে ডালের চাহিদা কমেছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন ইন্ডিয়ান পালসেস অ্যান্ড গ্রেনস অ্যাসোসিয়েশনের সৌরভ ভাটিয়া। তাঁর মতে দেশে ডালের জন্য ন্যাশনাল এগ কো-অর্ডিনেশন কমিটির মতো সংস্থা তৈরি হওয়া জরুরি। ন্যাশনাল এগ কো-অর্ডিনেশন কমিটি ১৯৮০ সালে যে প্রচার শুরু করেছিল তাতে দেশে ডিমের উৎপাদন বেড়েছে।
চাহিদা কমেছে দুধের
২০০৮-০৯ সাল থেকে ২০১৩-১৪ সাল পর্যন্ত দেশে যেখানে দুধ উৎপাদনের বাৎসরিক বৃদ্ধি ছিল ৭.৯ শতাংশ, সেখানে গত ৫ বছরে তার বৃদ্ধির হার ৩.৮ শতাংশ। অন্যদিকে দেশে দুধের দামেরও বৃদ্ধি হয়েছে। ২০০৮-০৯ সাল থেকে ২০১৩-১৪ সালের মধ্যে দিল্লিতে পুরো ক্রিম দুধের দাম লিটার পিছু ২৪ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৬ টাকা। সাম্প্রতিক সময়েও ফের তা বাড়ছে।
আয়ে এসেছে স্থবিরতা
বর্ষীয়ান কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোর গুলাটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুধ ও ডিমের ব্যবহারে ওই স্থবিরতা আসার একটা বড় কারণ মানুষের আয়। যা আগের মতো বাড়েনি। তবে গ্রামের মানুষের খরচ এব্যাপারে বেড়েছে শহরের মানুষর থেকে। যার প্রমাণ দিচ্ছে গ্রামের মানুষের বেতন। ২০১৪-১৫ থেকে ২০২৮-১৯ সাল পর্যন্ত যেখানে গ্রামীণ আয় বৃদ্ধি হয়েছে ৫.৩ শতাংশ। যেখানে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৪.৭ শতাংশ।
দৈনিক মাথাপিছু দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার গ্রহণ নিয়ে ২০১১-১২ সালের একটি রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে২০০৪-৫ সাল থেকে গ্রামীণ এলাকায় এর ব্যবহার বেড়ে ১২৮.৮৭ এমএল থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৪.৪৩ মিলি। যা শহুরে এলাকায় ১৭০.২৩ এমএল থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৮০.৭৩ এমএল।