'গণতন্ত্র বলে কিছু নেই', অভিষেকের পরেই ত্রিপুরাতে পা রাখতে চলেছেন মমতাও! ব্রাত্যের মন্তব্যে জল্পনা
ত্রিপুরাতে গনতন্ত্র বলে কিছু নেই। সৈরতান্ত্রিক আচরণ ত্রিপুরা সরকারের। আগরতলাতে বসে ঠিক এই ভাষাতেই বিপ্লব দেব সরকারকে একহাত নিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এখনও ত্রিপুরাতে বিধানসভা ভোটের অনেকটাই সময় পড়ে রয়েছে! কিন্তু এখন
ত্রিপুরাতে গনতন্ত্র বলে কিছু নেই। সৈরতান্ত্রিক আচরণ ত্রিপুরা সরকারের। আগরতলাতে বসে ঠিক এই ভাষাতেই বিপ্লব দেব সরকারকে একহাত নিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এখনও ত্রিপুরাতে বিধানসভা ভোটের অনেকটাই সময় পড়ে রয়েছে! কিন্তু এখন থেকে সে রাজ্য দখলের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল।
ইতিমধ্যে ভোট সমীক্ষার কাজে গিয়ে সে রাজ্যের পুলিশের হাতে আটক প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার কর্মীরা। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই অবস্থায় আজ বুধবার তাদের দেখতে যান তিন সদস্যের তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এই দলে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধায়।
সে রাজ্যে হোটেলে বসেই সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বিপ্লব সরকারের সমালোচনা করে ব্রাত্য বসু বলেন, ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূলের উত্থান দেখে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। আগামীদিনে এই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামারও হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষামন্ত্রী।
তাঁর দাবি, ত্রিপুরাতে গনতন্ত্র বলে কিছু নেই। সৈরতান্ত্রিক আচরণ ত্রিপুরা সরকারের। আগামীদিনে মানুষের সঙ্গে কথা বলেই আন্দোলনের পথে হাঁটতে তাঁরা বাধ্য হবেন বলে মন্তব্য ব্রাত্য বসুর। তিনি আরও বলেন, আইপ্যাকের সদস্যদের জোর কর আটকে রাখা হয়েছে। মানসিক ভাবে তাঁরা বিপর্যস্ত। দলনেত্রীর নির্দেশেই তাঁরা ত্রিপুরাতে এসেছেন বলেও জানান রাজ্যের মন্ত্রী।
তাঁর দাবি, টিম পিকের সদস্যদের সঙ্গে তাঁরা দেখা করবেন। এবং সমস্ত আইননত সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য। অন্যদিকে ত্রিপুরা পুলিশের দাবি, করোনা বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে বলেই আইপ্যাকের প্রতিনিধিদের আটকে রাখা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, যারা এই মুহূর্তে গৃহবন্দি অবস্থাতে রয়েছে তাঁরা সবাই সুস্থ। কেউ করোনা আক্রান্ত নন। দেশের মধ্যে সব জায়গাতে যাওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। সংবিধান এমনটাই বলছে। আর সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কাজে এসে তাঁদের দেওয়া হচ্ছে! আইপ্যাকের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের নাম থাকার কারণেই কি এই ব্যবস্থা? প্রশ্ন ব্রাত্যের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরর প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব এবং ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। ত্রিপুরা সহ গোটা দেশের মানুষ এখন তাঁর দিকে তাকিয়ে রয়েছে।'' প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধায়ও এখানে আসতে পারেন বলে দাবি ব্রাত্য বসুর।
আর তাঁর মন্তব্যে জল্পনা ছড়িয়েছে যে খুব শীঘ্রই কি ত্রিপুরাতে পা রাখতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো! উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই আগরতলাতে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার রাস্তা সুগম করতেই কি অভিষেকের এই সফর? উঠছে প্রশ্ন