স্বাধীনতা পরবর্তী বিহারের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড! মুসলিম শূন্যই থেকে যাচ্ছে নীতীশের নবগঠিত মন্ত্রিসভা
ফের ক্ষমতায় ফিরেছে এনডিএ জোটই। বিহারের মুখ্যমন্ত্রি পদে নীতীশ কুমারের শপথ গ্রহণের হাত ধরে তৈরিও হয়ে গিয়েছে নতুন মন্ত্রিসভা। কিন্তু আগের সরকারের থেকে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার খোলনলচে বদালালেও জল্পনা তৈরি হয়েছে অন্য জায়গায়।

স্বাধীনতা পরবর্তী বিহারের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন রেকর্ড
নীতীশের নেতৃত্বাধীন বর্তমান এনডিএ সরকারের বর্তমান মন্ত্রিসভা কার্যত মুসলিম প্রতিনিধি শূন্য। এদিকে সোমবার থেকেই পুরোদম কাজ শুরু করতে চলেছে এই নয়া মন্ত্রিসভা। কিন্তু তাতে শুধু মন্ত্রি না, মুসলিম সমাজ থেকে একজন বিধায়কেরও উপস্থিতি নেই। যা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিহারের ইতিহাসে প্রথমবার বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিহারের মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশই মুসলিম ভোটার
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১২৫টি জিতে কোনওরকমে সরকার গঠন করেছে এনডিএ জোট। জোট সরকারে বিজেপি, জেডিইউ-র পাশাপাশি রয়েছে জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়ামী মোর্চা বা হাম ও মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি বা ভিআইপির মতো শরিক দলগুলিও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিহারের মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশই মুসলিম ভোটার।

মুসলিম শূন্যই থেকে যাচ্ছে বিহারের নবগঠিত মন্ত্রিসভা
এদিকে এবারের ভোটে ১২২ র ম্যাজিক ফিগার এনডিএ জোট কোনোরকম ছুঁতে পারলেও বিজেপির খাতায় যায় ৭৪টি আসন, জেডিইউ-র দখলে ৪৩ ও বাকী অন্য দুই শরিক দলের খাতায়। কিন্তু এই চার দলের মধ্যে থেকে কোনও মুসলিম বিধায়কই সদ্য সমাপ্ত বিহার নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেনি। ফল স্বরূপ মুসলিম শূন্যই থেকে যাচ্ছে বিহারের নবগঠিত মন্ত্রিসভা।

রাজনৈতিক মহল থেকে উঠে আসছে ভিন্ন তত্ত্বও
তবে এই ক্ষেত্রে ভিন্ন তত্ত্বও উঠে আসছে রাজনৈতিক মহল থেকে। অনেকেই বলছেন গেরুয়া শিবির হোক বা নীতীশ শিবির দুই দলেই নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হাতেগোনা মুসলিম প্রার্থীদের দেখা মিলেছিল। পাশাপাশি যে সমস্ত কেন্দ্র থেকে তাদের দাঁড় করানো হয়েছিল সেখানে তাদের জয়ের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এদিকে জেডিইউ শিবির থেকে এবারের ভোটে প্রতিদ্বন্দিতা করতে দেখা যায় ১১ জন মুসলিম প্রার্থীকে। যদিও তারা প্রত্যেকেই হেরে যান।

শিখণ্ডী গান্ধী পরিবার! ফের ভাঙনের চৌকাঠে কংগ্রেস, অধীরের পরামর্শে নয়া ঝড়ের আশঙ্কা