লকডাউনের ঘোষণা আর কার্যকরের মাঝে রয়েছে বিস্তর ফারাক, উঠে আসছে কোন চিত্র
ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রদেশে আটকে রয়েছেন ভিন রাজ্যের অসংখ্য অভিবাসী শ্রমিকের দল। কেউ রয়েছেন খাদ্যাভাবে তো কেউ রয়েছেন অর্থকষ্টে। কোনও উপায় না দেখতে পেয়ে বাধ্য হয়ে অনেকেই বাড়ি ফেরার জন্য হাঁটা লাগিয়েছেন।
২১ দিনের লকডাউনে কার্যত স্তব্ধ গোটা দেশ
এদিকে ২৫ মার্চ থেকে ২১ দিনের জন্য দেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। যার জেরে কার্যত স্তব্ধ গোটা দেশ। যদিও লকডাউনের আওতার বাইরে কোন কোন পরিষেবা থাকবে সেই বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের তরফে বেশ কিছু নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে। এদিকে বাড়ি ফেরার তাগিদে দিশেহারা শ্রমিকের দলকে রাস্তায় ঘুরতে দেখা যাচ্ছে একাধিক রাজ্যেই। খাদ্য ও বাসস্থানের বদলে তাদের কপালে জুটছে পুলিশি প্রহার, উঠছে এমনও অভিযোগ।
অভিবাসী শ্রমিকদের খাদ্য ও বাসস্থান দিয়ে সহায়তার আবেদন
এমতাবস্থায় আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সমস্ত রাজ্যগুলিকে অভিবাসী শ্রমিকদের খাদ্য ও আশ্রয় দিয়ে সহায়তা করার জন্য আবেদন করেছে। পাশাপাশি তারা যাতে পায়ে হেঁটেও অন্য রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে সেই বিষয়েও নজর রাখতে বলা হয়েছে। এর ফলে কোনও গোলযোগ সৃষ্টি হলে তাও কড়া হাতে মোকাবিলা করার কথাও বলা হয়।
উঠে আসে দক্ষিণ আফ্রিকার লকডাউনের প্রসঙ্গ
যদিও ইতিমধ্যেই লকডাউন কার্যকারিতা করার উপায় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে দেখা যায় একাধিক মহল থেকে। এই প্রসঙ্গে শুক্রবার মধ্যরাতে শুরু হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার ২১ দিনের লকডাউনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন এক সরকারি আধিকারিক। তার কথায়, " সেখানে লকডাউনের আগে তিন দিনের নোটিশ জারি করা হয়েছিল। তাই ভারতে চার ঘণ্টার নোটিশে নয়, লকডাউনের জন্য আরও ভাল করে পরিকল্পনা করা যেত।"