চাকরি নেই, হতাশ বিহারের যুবরা, মন্তব্য খোদ শাসক দলের সাংসদের
চাকরি নেই, হতাশ বিহারের যুবরা, মন্তব্য খোদ শাসক দলের সাংসদের
কিছুদিন আগেই রেলের চাকরির পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর অবোরোধের পথ বেছে নিয়েছিলেন বিহারের যুবদের একাংশ৷ সে ঘটনা বেশি পুরনো হওয়ার আগেই সম্প্রতি বিহারের বখতিয়ারপুরে একজন ভারসাম্যহীন যুবক মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা বলয় ভেঙে নীতীশ কুমারের কাছে পৌঁছে যায়। এ বিষয়ে বিহারের বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভা সাংসদ গোপাল নারায়ন সিং সংবাদমাধ্যমে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷ তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিহারের যুবরা চাকরির সুযোগ না পেয়ে হতাশ। তাই রাজ্য সরকারের উচিৎ সমস্যার সমাধান করা৷
প্রসঙ্গত বিহারে নীতীশের জনতা দল ইউনাইটেড (JDU) র সঙ্গে জোট করে সরকার চালাচ্ছে বিজেপি৷ যদিও সম্প্রতি বিকাশশীল ইনসান পার্টি (VIP)-র তিন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দানের পর বিজেপিই এখন বিহারের সবচেয়ে বড় দল! তবে এনডিএ জোটে জেডিইউর চেয়ে বেশি ভোট পেলেও নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করেই সরকার চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি৷ তাই বিহার সরকার ছাত্র যুবদের চাকরির ব্যবস্থা করুক এ বিষয়ে সাংসদ গোপাল নারায়ন সিং-এর মন্তব্য কার্যত নিজের দলের দিকেই আঙুল তোলা হল বলে করছে রাজনৈতিক মহল৷ ঠিক কী বলেছেন গোপাল সিং? বিজেপি সাংসদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'বিহারের অবস্থা একেবারেই নর্মাল নেয়৷ বিশেষ করে যুবদের মধ্যে ভীষণ হতাশা রয়েছে৷ তাদের কাজ এবং শিক্ষার সুযোগ তৈরি করুন৷ যুবদের অন্য কোন উপায় নেই তাই তারা রাগ প্রকাশ করছে৷ কারও উচিত নয় নিজেকে নির্দোশ প্রমাণ করে অন্যকে দোষ দেওয়া৷'
রামপুরহাট-কাণ্ডের মধ্যেই বঙ্গ বিজেপিকে জরুরি বৈঠকে ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
তবে এখানেই শেষ নয় সাংসদ গোপাল সিং আরও বলেন, ' এখন সিরিয়াসি ভাবার সময় হয়েছে যে বিহারের যুবরা কেন হতাশ৷ এটাকে কোনওভাবেই অবজ্ঞা করা উচিত নয়৷ সরাকারের এটা নিয়ে ভাবা উচিৎ এবং এর দ্রুত সমাধান করা উচিত৷ এরকমর ঘটনা আগেও ঘটেছে এগুলোকে অবজ্ঞা করে এ নিয়ে না ভেবে দূরে সরিয়ে রাখার ভুল যাতে না করা হয়৷'
প্রসঙ্গত, সাংসদ গোপালের এই বক্তব্য সামনে এসেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যখন বিহারের এনডিএর জোট সঙ্গী (প্রাক্তন) বিকাশশীল ইনসান পার্টির মুকেশ সাহানির মন্ত্রিত্ব কেড়ে নিয়েছে বিজেপি। বিকাশশীল ইনসান পার্টিকে মোট ১১টি আসন ছেড়েছিল বিজেপি। যার ৪টিতে তারা জেতে৷ এই চারজন বিধায়কের তিনজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সম্প্রতি৷ এবং দলের প্রধান মুকেশ সরাসরি এনডিএ জোটের সমালোচনা করে আরজেডির নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সমর্থনে কথা বলা শুরু করেছে৷ তাি তার কাছ থেকে মন্ত্রিত্ব কেড়ে নিতে নীতীশকে অনুরোধ করেছিল বিজেপি৷ সেই অনুরোধ মেনেই সাহানিকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয়েছে৷