হোটেল ছাড়লেন বিধায়ক! শিবসেনার অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ নিয়ে জল্পনা
মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা নিয়ে দড়ি টানাটানির মধ্যেই ব্যাপক বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে শিবসেনা শিবিরে। এমনটাই খবর সূত্রের। মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছে শিবসেনা।
মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা নিয়ে দড়ি টানাটানির মধ্যেই ব্যাপক বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে শিবসেনা শিবিরে। এমনটাই খবর সূত্রের। মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছে শিবসেনা। বিজেপি পর রাজ্যে আসন সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও, শিবসেনা সরকার গঠনের দাবি জানায়নি। বরং রাজ্যপাল তাদের কাছে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। প্রায় সবদলই ব্যর্থ হওয়ায় ফল ঘোষণার প্রায় তিন সপ্তাহ পর রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেন রাজ্যপাল।
যদিও এই সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় কাটেনি শিবসেনার বিধায়কদের। বিক্রি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তাদের রাখা হয়েছে মুম্বইয়ের মালাডের রিট্রিট হোটেলে। এই পরিস্থিতিতে দলের সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তিনি বাধ্য হয়েছেন, বিধায়কদের নিজ নিজ কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিতে।
মঙ্গল ও বুধবার রাতে হোটেলেই বিদ্রোহ চোখে পড়ে অনেকের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিধায়করা নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এমন কী মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। খবর পেয়ে আদিত্য ঠাকরে মঙ্গলবার রাতে হোটেলে ছুটে গিয়েছিলেন। একই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় উদ্ধব ঠাকরে কে বুধবার রাতে হোটেলে যেতে হয়েছিল।
বিক্ষুব্ধ বিধায়করা এবার ঠাকরের মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে। যেখানে কেবল ঠাকরে পরিবার উপকৃত হবে, এমন সিদ্ধান্ত কেন পুরো দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হল। এমনও প্রশ্ন নাকি উঠেছে।
এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার সঙ্গে আলোচনাও ভাল ভাবে নেননি শিবসেনার বিধায়করা। যেসব দলের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে জিতে এসেছেন তাদের সঙ্গেই কীভাবে যাবেন তাঁরা, এমন প্রশ্নও তুলেছেন শিবসেনার বিধায়করা।
অন্যদিকে প্রথমবারের জন্য মহারাষ্ট্র নিয়ে মুখ খুলে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জানিয়েছেন, তিনি এবং নরেন্দ্র মোদী বারবারই বলেছেন, যদি জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে শিবসেনা-কংগ্রেস আলোচনা, উৎসাহী উদ্ধব