লকডাউনের জেরে বিনা চিকিৎসায় দিল্লিতে অভুক্ত অবস্থায় আটকে প্রচুর রোগী ও পরিজনেরা
লকডাউনের জেরে ভিন রাজ্য থেকে দিল্লির এইমস, সফদারজং এর মত বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রুগীর পরিজনদের দিন কাটছে চরম হতাশা আর অসহায়তার মধ্যে দিয়ে। আর্থিক সামর্থ না থাকায় রুগীর পরিজনেরা মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসাবে জন্য বেছে নিয়েছিল নিকটস্থ ফুটপাত। তবে লকডাউনের কারণে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকায় একপ্রকার অনাহারে তাদের দিন কাটাচ্ছেন তারা। তবে ফুটপাতে বসবাসকারী বহু মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে আসতে চাইলেও অনুমতি দিচ্ছেনা পুলিশ।
অনাহারে মৃত্যুর আশঙ্কা
সাফদারজংয়ের এক ধর্মশালার বাইরে রুগী এবং তাদের পরিজনদের থাকার অনুমতি দেওয়া হলেও তাদের খাওয়াদাওয়া একপ্রকার বন্ধ কিছুদিন ধরেই। সেখানে এক রোগীর পরিজন বলেন, "তিনদিন ধরে খালি পেটে আছি। করোনা আসার আগে তো আমরা অনাহারে মারা যাবো।"
বিনা চিকিৎসায় ক্যানসার আক্রান্ত রোগী
তবে দেশ জুড়ে হটাৎ করে লকডাউন হওয়ায় প্রবল সমস্যার মুখে এই সমস্ত রোগীর পরিজনেরা। রাজস্থান থেকে নাথুরাম নামের এক ব্যক্তি তার ক্যানসার আক্রান্ত মেয়ের চিকিৎসার জন্য গত ১৮ই জানুয়ারি এসেছিলেন দিল্লির এইমস হাসপাতালে। কিন্তু করোনার কারণে সেদিনই ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। তবে চিকিৎসার আশায় তিনি মেয়েকে নিয়ে থেকে যান দিল্লিতেই। নাথুরাম বলেন, " বিনা চিকিৎসায় পরে আছে মেয়েটা। বাড়ি ফিরতে গেলে এখন এম্বুলেন্সে ১৬০০০ টাকা দাবি করছে। মেয়ের চিকিৎসার পিছনে সব অর্থ ব্যয় হয়েছে আমাদের। আমাদের যদি অত টাকা থাকতো, তাহলে কই এখানে পরে থাকতাম?"
৫০,০০০ টাকা দিতে পারলে তবেই যাওয়া যাবে বাড়ি
তবে লকডাউনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লাগামছাড়া ভাড়া হাঁকছে এম্বুলেন্স চালকেরা। দিল্লি থেকে বিহারে রুগী নিয়ে যেতে ভারা হাঁকছে ৫০,০০০ টাকা। মুরাদাবাদ থেকে এইমসে চিকিৎসা করাতে এক ব্যক্তি বলেন যে "বাড়ি ফিরতে হলে এম্বুলেন্সকে ২০,০০০ টাকা দিতে হবে। অত টাকা পাবো কোথায়?"