একটা নয়, একাধিক করোনা ভ্যারিয়েন্টের 'বিস্ফোরণ' ঘটেছে চিনের মাটিতে! মত বিশেষজ্ঞের
দেশজুড়ে করোনা আতঙ্ক! বিশেষ করে চিন সহ একাধিক দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত চিন্তা বাড়িয়েছে কেন্দ্রের। আর তাই আগাম সতর্কতা হিসাবে ইতিমধ্যে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বিশেষ করে সামনেই নতুন বছর। উৎসব-আনন্দে
Corona in India, coronavirus: দেশজুড়ে করোনা আতঙ্ক! বিশেষ করে চিন সহ একাধিক দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত চিন্তা বাড়িয়েছে কেন্দ্রের। আর তাই আগাম সতর্কতা হিসাবে ইতিমধ্যে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বিশেষ করে সামনেই নতুন বছর। উৎসব-আনন্দে মাতোয়ারা হবে গোটা দেশ।
ফলে ওমিক্রণের সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর ছড়িয়ে পড়ার একটা আশঙ্কা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিশেষ করে ভারতের মাটিতেও নয়া এই ভ্যারিয়েন্টের আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। যদিও এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে NK Arora জানিয়েছেন, আগাম সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে ভারতে।
যদিও চিনের কথা বলতে গিয়ে তাঁর দাবি, সে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। চিন থেকে সঠিক তথ্য আসছে না বলেও জানিয়েছেন ভারত সরকারের কোভিড বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান। আর তা আসছে না বলেই ভারত সবরকম ভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে দেপয়া সাক্ষাৎকারে এনকে আরোরা বলছেন, চিনের মাটিতে ককটেল ভাইরাসের বিস্ফোরণ ঘটেছে। আর এর জেরে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে বলেও দাবি তাঁর।
তবে ককটেল ভাইরাসের বিস্ফোরণের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ওই বিশেষজ্ঞ বলছেন, গোটা সংক্রমণের ১৫ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে BF.7-এ। তবে চিনে একটা বড় অংশের মানুষ অর্থাৎ ৫০ শতাংশ BN এবং BQ-এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলে মনে করছেন অরোরা। আর বাকি ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে SVV ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে বলেই মত তাঁর।
আর এই একাধিক করোনার বিস্ফোরণের কারণেই কমিউনিস্ট এই দেশটি এভাবে ভয়ঙ্কর সংক্রমণ ঘটেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে সাক্ষাৎকারে ভারতবাসীকে দেওয়া ভ্যাকসিন এবং ইউমিউনিটির কথাও বলছেন এনকে অরোরা।
বলে রাখা প্রয়োজন, চিন নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, চিনে একদিনে ৩৭ মিলিয়ন বা ৩.৭ কোটি সংক্রমণ হতে পারে। এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে বেশি করোনা প্রাদু্র্ভাব এই দেশেই। করোনার চতুর্থ ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে চিনকে। গতবার চিন থেকে করোনার সংক্রমণের সূত্রপাত হলেও, তৃতীয় ঢেউ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণকে ছড়াতে দেয়নি চিন। তবে এবার নাকি সবরকম ভাবে আয়ত্তের বাইরে পরিস্থিতি।
আর এই অবস্থায় সবদিক থেকে তৈরি রাখছে ভারত। অন্তত এমনটাই আশ্বাসের কথা জানাচ্ছেন ভারত সরকারের এই বিশেষজ্ঞ।