
গোরক্ষনাথ মন্দিরে পুলিশের উপর হামলা 'সন্ত্রাসের ষড়যন্ত্র' বলেই মনে করছে যোগী সরকার
উত্তরপ্রদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রদফতর সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, গোরক্ষনাথ মন্দিরের ঘটনাটি একটি 'গুরুতর সন্ত্রাসের ষড়যন্ত্রের' অংশ। আহমেদ মুর্তজা আব্বাসি একজন রাসায়নিক প্রকৌশলী, যিনি রবিবার রাতে ইউপির গোরখপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরে মোতায়েন নিরাপত্তা কর্মীদের উপর হামলা চালান। সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হওয়া ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অভিযুক্ত মুর্তজা, নিরাপত্তা কর্মীদের কাস্তে নিয়ে তাড়া করছে। এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের প্রাদেশিক আর্মড কনস্ট্যাবুলারির দুই জওয়ান আহতও হয়েছেন।

এরপরই সোমবার যোগী সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, যে সব তথ্য প্রমাণ এখনও পাওয়া গিয়েছে তার ভিত্তিতে এই আক্রমণটিকে একটি 'সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রের' ঘটনা বলা যেতে পারে। স্বরাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'আক্রমণকারী একটি সন্ত্রাসী হামলার উদ্দেশ্য নিয়েই মন্দির চত্বরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। মন্দিরের সুরক্ষায় থাকা সাহসর পুলিশ কর্মীদের চেষ্টায় যা ব্যর্থ হয়েছিল৷ অভিযুক্ত মুর্তজার আক্রমণে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দুজন কনস্টেবল আহত হয়েছে৷ এই দুই কনস্টেবলকে সাহসিকতার জন্য ইউপি সরকার ৫ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কারও ঘোষণা করেছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ইউপি এসটিএফ-এর একটি বিশেষ দলকে এটিএস-এর সহায়তায় বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার গোরখপুরের একটি আদালত অভিযুক্ত আহমেদ মুর্তজা আব্বাসিকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। আহমদ মুর্তজা আব্বাসি গোরখপুরের সিভিল লাইন এলাকার বাসিন্দা। ২০১৫ সালে আইআইটি-মুম্বাই থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে পরপর দুটি নামী কোম্পানিতে কাজ করেন। আব্বাসির পরিবারের সদস্যরা বলেছেন যে তিনি ২০১৭ সালে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভুগছিলেন এবং বেশ কয়েকজন ডাক্তার তাকে চিকিতসাও করছিলেন। এই সমস্যাগুলির সঙ্গেই তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ও ছিল, যার ফলে বেশ কিছুদিন আগে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল।