এনআরসি সংকটেই মাঝেই অসমে প্রজ্বলিত হতে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম প্রদীপ
আগামীকালই
সারা
দেশ
জুড়ে
মহাসমারোহে
পালিত
হতে
চলেছে
দীপাবলি।
কাশ্মীর
থেকে
কন্যাকুমারী
প্রায়
প্রতিটি
দেশবাসী
সামিল
হতে
চলেছে
এই
আলোর
উৎসবে।
এদিকে
দীপাবলির
প্রাক
মুহূর্তেই
জাতীয়
নাগরিক-পঞ্জির
চূড়ান্ত
তালিকা
প্রকাশিত
হয়েছে
অসমে।
দেশের
নাগরিকত্ব
হারিয়েছেন
প্রায়
১৯
লক্ষ
মানুষ।
নিজের
ঘরে
প্রদীপ
না
জ্বললেও
বর্তমানে
হাজার
হাজার
মানুষের
ঠাঁই
হয়েছে
ডিটেকশন
ক্যাম্পে।
অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহের শনিবার দীপাবলি উপলক্ষে বিশ্বের বৃহত্তম প্রদীপের শিখা প্রজ্বলিত হতে চলেছে অসমের গুয়াহাটিতে। রাজধানী সংলগ্ন দিঘলই পুখুরিতে বিশ্বের বৃহত্তম এই প্রদীপ জ্বালানো হবে এদিন সন্ধ্যায়। প্রায় ২০০ লিটার তেল ধারণে সক্ষম প্রদীপটি ৮ ফুট চওড়া, ও উচ্চতায় প্রায় ২ ফুটের কাছাকাছি। উত্তরপূর্ব ভারতের সিমেন্ট উৎপাদনকারী সংস্থা "ম্যাক্স সিমেন্টের" উদ্যোগেই এই প্রদীপটির নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম প্রদীপ হিসাবে লিমকা বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও নাম উঠেছে এই সর্ববৃহৎ প্রদীপটির।
এদিন গুয়াহাটিতে 'দিয়া অব চেঞ্জ’ নামে বিশ্বের বৃহত্তম প্রদীপ জ্বালানোর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন বিভিন্ন ধর্মগুরু, সমাজ কর্মী, সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট জনেরা। এই বিষয়ে ওই সিমেন্ট প্রস্তুতকারী সংস্থা জানান, বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারের উদ্দেশ্যেই তাদের এই উদ্যোগ। ২০২২ সালের মধ্যে প্লাস্টিক বর্জিত দেশ গঠনের লক্ষ্যে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেই প্রকল্পের অন্যতম পথ প্রদর্শক হয়ে থেকে যাবে এই প্রদীপটি।
ইতিমধ্যেই দীপাবলির প্রাক মুহূর্তে বিশ্বের বৃহত্তম প্রদীপ তৈরি করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই সিমেন্ট প্রস্তুতকারী সংস্থাটি। অতীতে এই রেকর্ডটি ছিলও গোরক্ষপুরের সুরজকুন্ডু ধাম সমিতি এবং লক্ষ্মী পূজা নবযুবক নামে উত্তরপ্রদেশের দুটি পূজো কমিটির কাছে। ১৫০ কেজি ওজনের ওই প্রদীপটি চাওড়ায় প্রায় ১৩০ সেন্টিমিটার ও উচ্চতায় প্রায় ৪৫ সেন্টিমিটার। প্রদীপটি নির্মাণে খরচ হয়েছিলো প্রায় ৮০,০০০ টাকা। ২৫জন কর্মীর ৪৫দিনের পরিশ্রমে ১০১ লিটার তেল ধারণে সক্ষম এই প্রদীপটি তৈরি সম্ভব হয়েছিল। শহীদ-স্মরণেই মূলত ওই প্রদীপটির তৈরি করা হয় বলে জানা গেছে।