করোনা মোকাবিলায় কী ভাবে দেশকে ভরসা যোগাচ্ছে কেরল?
দেশে সর্বপ্রথম করোনা ধরা পড়েছিল কেরলে। এরপর প্রথম দিকে কেরলে আক্রান্ত্রের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়ে ছিল। তবে কেরল বেড়ে চলা করোনা আক্রান্ত্রের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমণে বেড়ে চলা আক্রান্তদের হারের তুলনা অনেক কম কম হারে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে কেরলে।
করোনা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত জনজীবন
করোনা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। গোটা দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত্রের সংখ্যা। কেরলে করোনা আক্রান্ত্রের সংখ্যা ৩৭০, সম্প্রতি কেরলের করোনা আক্রান্ত্রের সংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, তেলঙ্গানা ও উত্তর প্রদেশ। কেরল সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে, কিন্তু কী ভাবে? কী এমন ব্যবস্থা নিল করোনার সংক্রমণ একধাক্কায় কমে গেল। আসুন দেখে নিন করোনা মোকাবিলার জন্য কেরল কি পদক্ষেপ নিয়েছিল?
দ্রুত সংক্রামিতদের গণনা করে কেরল
প্রথমত সতর্কতা অবলম্বনের সাথে সাথে খুব দ্রুত সংক্রামিতদের গণনা করা। এবং একটি রুট ম্যাপ তৈরি করেন যার মাধ্যমে সংক্রামিত রোগীদের পূর্ববর্তী গতিবিধি নির্ধারণ করতে পারে। সাথে সাথে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে ২৮ দিন চিকিৎসকদ্বারা নমুনা পরিক্ষা ও সচেতন ভাবে নজর দারি। একটি জিওকি-ডিরেক্ট অ্যাপ চালু করেছিলেন যাতে মানুষের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছায়, এবং গুজব খবর রুখতে নানান পদক্ষেপ নিয়ে ছিলেন।
আঞ্চলিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সহযোগিতা
আঞ্চলিক স্বেচ্ছাসেবক দের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল গথন করেছিলেন বিভিন্ন ক্যাম্পেন করার জন্য। এ ছারাও মানসিক ভাবে সুস্থ্য থাকার জন্য ও বাড়িতে থাকার জন্য ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করা। এই নয়া পরিকল্পনার জন্য মডেল তৈরি করেছিল কেরল রাজ্য।
দেশে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৩০০ জন
দেশে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৩০০ জন। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৯১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা পরিস্থিতি তাতে ভারতও স্টেজ-৩-তে চলে গিয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী অনান্য রাজ্য গুলিও কেরলের এই নয়া পরিকল্পনা বা মডেল টিকে ফলো করতে চাইছে, অর্থাৎ এই মডেল ভরসা দিচ্ছে করোনা মোকাবিলার জন্য।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র
দেশের মধ্যে করোনার জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। ইতিমধ্যে সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে হাজারের গণ্ডি। এর মধ্যে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত মুম্বই। তারপরেই সব থেকে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে সেরাজ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পুনে। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৭৪ জন। মারা গিয়েছেন ১১০ জন।