সময় এসেছে তাবলিঘি জামাতের ঘটনা ভোলার: হর্ষ বর্ধন
সময় এসেছে তাবলিঘি জামাতের ঘটনা ভোলার: হর্ষ বর্ধন
দেশে করোনা মহামারি প্রত্যেকদিনই বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। প্রতিদিনই আগের দিনের তুলনায় করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। করোনা সংক্রমণে রবিবারের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে সোমবার। এদিন ৬,৯৭৭টি কেস সনাক্ত হয়েছে। প্রতিদিনই সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভারতে এখন মোট করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১,৩৯,০৪৯টি এবং মৃত্যু সংখ্যা ৪,০২৪টি, যার অর্থ রবিবার কোভিড–১৯–এ মৃত্যু হয়েছে ১৫৯ জনের।
গরমে করোনা ভাইরাস নিশ্চিহ্ন হওয়ার কোনও চিহ্ন নেই
রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন যে এই মারণ ভাইরাস মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও গুজরাটকে শীর্ষস্থানে রেখেছে এবং কোনও অলৌকিকভাবে এই রোগের প্রতিষেধকও চলে আসবে না। তার জন্য কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচমাস অপেক্ষা করতে হবে। এরই মধ্যে দক্ষিণে গরমের তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। অথচ ফেব্রুয়ারিতেই হর্ষ বর্ধন জানিয়েছিলেন যে দেশে গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভাইরাসও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। যদিও বর্তমান পরিস্থিতি দেখে তার সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথার কোনও মিল পাওয়া যাচ্ছে না।
সরকার ক্লান্ত তাবলিঘির ওপর দোষ চাপাতে চাপাতে
তবে এটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে দেশে করোনা ভাইরাস বেড়ে যাওয়ার পেছনে কেন্দ্র তাবলিঘি জামাতের ভূমিকা তুলে ধরার ক্ষেত্রে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। রবিবার ভিডিও কনফারেন্সে বিজেপির মুখপাত্র জি ভিএল নরসিংহ রাও ও হর্ষ বর্ধন জানিয়েছিলেন যে, প্রকৃতপক্ষে নিজামুদ্দিন মরকজের ঘটনার জন্য সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও, শুধু তাবলিঘি দায়ি নয় সব সম্প্রদায়ের কাছেই এটি একটি শিক্ষা। একই সময়ে তিনি এও জানিয়েছেন যে তাবলিঘি জামাতে অংশগ্রহণকারী ও তাদের সংস্পর্শে আসা সকলকে কড়াভাবে সনাক্ত করা হয়েছে এবং যারা করোনা সংক্রমিত হয়েছিল তাদের চিকিৎসা করা হয়েছে, তাই এ বিষয়ে এখন কথা বলার কোনও অর্থ নেই।
তাবলিঘি জামাতের কারণে করোনা কেস বাড়তে শুরু করে
হর্ষ বর্ধনকে প্রশ্ন করা হয় যে মহামারির ক্ষেত্রে তাবলিঘি জামাতের ঘটনা কি প্রধান নয়, এ প্রসঙ্গে বর্ধন বলেন, ‘এই বিষয়ে কথা বলতেও খারাপ লাগে, কিন্তু এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে যখন গোটা বিশ্বে এই সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে তখন ভারতে মাত্র কয়েকটা করোনা কেস ধরা পড়েছিল, ঠিক তখনই এই দুর্ভাগ্যজনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন ঘটনাটি ঘটে।' তিনি আরও বলেন, ‘দেশে হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণের কেস বাড়তে শুরু করলে দেশ বড় ধাক্কা খায় এবং এর ফলস্বরূপ সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে লকডাউন সহ অন্যান্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।'
তাবলিঘি জামাত শিক্ষা দিয়ে গেল দেশকে
বর্ধন বলেন, ‘এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ছিল এবং এটি দেশের সকল বিভাগ এবং সম্প্রদায়ের জন্য একটি শিক্ষা যে কোনও দেশ যখন সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেয় তখন প্রত্যেককে তার বৃহত্তর স্বার্থের কারণেই শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে এটি অনুসরণ করা উচিত।'
আম্ফানবিধ্বস্ত বাংলা! কোন খাতে কত পাওনা মোদী সরকারের কাছে, হিসেব দিলেন ব্রাত্য