যৌন মিলনকেই অপরাধ বলছেন নাকি, ৩৭৭ ধারার শুনানিতে কটাক্ষ সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্টের মতে জনসাধারণ সমকামী সম্পর্ককে মেনে নিলে জনস্বাস্থ্যের উন্নতি হবে এবং এইচআইভি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।
জনগণ যদি সমকামী সম্পর্ককে মেনে নেয়, তাহলে জনস্বাস্থ্যের উন্নতি হবে, এইচআইভি ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা কমবে। ৩৭৭ ধারার শুনানিতে এই মতই দিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি.ওয়াই. চন্দ্রচূড়। ৩৭৭ ধারা বহাল রাখার পক্ষের আইনজীবীদের দাবি ছিল সমকামী সম্পর্কে এইডস হয়।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় দুই প্রাপ্ত বয়স্কের সম্মতিতে হলেও সমকামকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। এই ধারা বাতিল করা নিয়েই মামলা চলছে শীর্ষ আদালতে। সেখানেই ধারা বহাল রাখার পক্ষের আইনজীবিরা যুক্তি দিয়েছিলেন সমকামী আচরণের ফলেই এইডস ছড়ায়।
সেই যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, বিষয়টা বরং উল্টো। সমকামীদের একঘরে করে রাখলে, তারা চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তাতে এইচআইভি ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। তিনি আরও যোগ করেন, 'যে কোনও রকম দমনই ভুল'।
পাশাপাশি ৩৭৭ ধারা বহাল রাখার পক্ষের ওই আইনজীবীদের যুক্তি খুবই অসাড় বলেও কটাক্ষ করেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। বলেন, 'যৌন মিলনেই এসটিডি সংক্রমণ হয় না। অসুরক্ষিত যৌন মিলনে হয়। এক গ্রামের মহিলারও বাইরে কাজ করা স্বামীর সঙ্গে যৌনমিলনে এই রোগ ছড়াতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাদের যুক্তি অনুযায়ী যৌন মিলনকেই অপরাধ বলতে হয়!'