কাশ্মীরের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে প্রশাসনকে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
গত ৫ আগস্ট কেন্দ্র সরকার জম্মু–কাশ্মীরের ওপর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে। তারপর থেকেই উপত্যকায় জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে উপত্যকার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ওঠা প্রত্যেক প্রশ্নের জবাব দিতে হবে জম্মু–কাশ্মীর প্রশাসনকে। এর আগেও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্র ও জম্মু–কাশ্মীর সরকারকে।

সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি এনভি রমন কাশ্মীর প্রশাসনের পক্ষে দাঁড়ানো সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে জানান, উপত্যকার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তি দেখিয়ে আবেদনকারীরা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এবং তাঁকে সব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। এনভি রমন সহ বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি আর সুভাষ ও বিআর গেভাই বলেন, 'মিস্টার মেহতা আপনাকে আবেদনকারীদের প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আবেদনকারীরা যুক্তি দেখিয়ে আবেদন করেছেন। আবেদনের সম্পূর্ণ বিরোধী হলফনামা আমাদের কোনও মীমাংসা করতে সহায়তা করেনি। আপনি মামলাটির দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন না, এমন ধারণা আমাদের কাছে তৈরি করবেন না।’ তুষার মেহতা জানান, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আবেদনকারীদের বেশিরভাগ বিবৃতিই ভুল এবং তিনি যখন আদালতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তখন তিনি সব প্রশ্নের জবাব দিতে বাধ্য। সলিসিটার জেনারেল জানিয়েছেন যে, তাঁর কাছে উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি খতিয়ান রয়েছে, কিন্তু তিনি তা আদালতে পেশ করবেন না। কারণ প্রতিদিনই জম্মু–কাশ্মীরের পরিস্থিতি বদল হচ্ছে। সঠিক সময় আসলে তিনি এই রিপোর্টটি সুপ্রিম কোর্টে জমা দেবে।
শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে একটি মাত্র আবেদনের ওপর নির্ভর করে এই মামলাটি ঝুলে নেই। সুপ্রিম কোর্ট বলে, 'আমরা বর্তমানে অনুরাধা বাসিন এবং গুলাম নবি আজাদের দায়ের করা আবেদনের শুনানি করছি। যাঁরা উপত্যকায় আন্দোলনের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিয়ে আবেদন করেছে।’
এর আগেও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলার আগের শুনানিতেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল প্রশাসন। ক্ষুব্ধ বিচারপতিরা মন্তব্য করেছিলেন, 'কাশ্মীর নিয়ে যা বোঝাবেন তাই বুঝব এমন ভাববেন না।’ এর পরে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশের ফাইলও দেখতে চেয়েছিলেন বিচারপতিরা।