স্ত্রীর অজান্তে টেলিফোনে কথাবার্তা রেকর্ড করা গোপনীয়তার লঙ্ঘন- হাইকোর্ট
স্ত্রীর অজান্তে টেলিফোনে কথাবার্তা রেকর্ড করা গোপনীয়তার লঙ্ঘন- হাইকোর্ট
বর্তমানে
সমস্ত
মানুষের
কাছেই
আছে
টেলিফোন।
ফোন
হচ্ছে
গণমাধ্যমের
একটা
দিক।
টেলিফোন
সব
সময়েই
সকলের
কাজে
ব্যবহৃত
হয়।
আর
এই
টেলিফোনের
অপর
আরেকদিক
তুলে
ধরা
হল।
পাঞ্জাব
ও
হরিয়ানা
হাইকোর্ট
পর্যবেক্ষণ
করে
দেখেছেন,
স্ত্রীর
অজান্তে
টেলিফোনের
কথোপকথন
রেকর্ড
করা
তার
গোপনীয়তা
লঙ্ঘনের
জন্য।
২০১৭ সালে এমনই অভিযোগ করেছিলেন এক মহিলা। হাইকোর্টে ওই মহিলা জানান, ঘটনার সময় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। এই বিরোধের জেরেই ২০১৭ সালে বটিণ্ডার পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য মামলা করেন মহিলার স্বামী। ইতিমধ্যে, স্বামী প্রমাণ হিসাবে নিজের এবং আবেদনকারীর মধ্যে কথোপকথনের রেকর্ডিং তৈরি করেন। পারিবারিক আদালত ওই কল রেকর্ডিংকে প্রমাণ হিসেবে মেনেও নেয়, যা নিয়ম অনুযায়ী ঠিক নয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্বামীর তরফ থেকে জানানো হয়, তার স্ত্রী কতটা নিষ্ঠুর তারই প্রমাণ এই কথোপকথনই। আর এটাই যথেষ্ট প্রমাণ বলে তিনি মনে করেন। তবে এ বিষয় নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। ঘটনা প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, কী ভাবে ১ জন ব্যক্তি কারও গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করতে পারেন। স্বামী হোক বা স্ত্রী কেউই কারোর অনুমতি ছাড়া টেলিফোনের কথা রেকর্ড করা দণ্ডনীয় অপরাধ। আর যা গোপনীয়তার অধিকারের লঙ্ঘন। হাইকোর্ট ফোন রেকর্ডিংকে প্রমাণকে বিবেচনা না করে বটিণ্ডার পারিবারিক আদালতকে ৬ মাসের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট গোপনীয়তার অধিকারকে সংবিধানের অধীনে একটি মৌলিক অধিকার বলে ঘোষণা করেছে । ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন বিচারপতির একটি বেঞ্চ এই ঘোষণা করে। রায়ে বলা হয়েছিল, গোপনীয়তা মানুষের মর্যাদার সাংবিধানিক মূল বিষয়। সংবিধানের ২১(৩) ধারা অনুযায়ী “গোপনীয়তা মৌলিক অধিকার” হিসেবে চূড়ান্ত হয়। আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল ' Right to privacy’ মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না। এই রায় ঘোষণার পর আগের রায় বাতিল করা হয়।