দেশে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রা সাধারণ মানুষের সহ্য শক্তির পরীক্ষা করছে
দেশে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রা সাধারণ মানুষের সহ্য শক্তির পরীক্ষা করছে
শেষ ১২২ বছরে এরকম উষ্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়নি ভারত! দেশের বড় অংশে দিনের তাপমাত্রা ৪৪ স্পর্শ করছে৷ রাতেও ৩০-এর নীচে নামছে না উষ্ণতা! নয়াদিল্লির রাস্তায় আগুন জ্বলছে। দিনের কল থেকে যে জল বের হচ্ছে তা স্পর্শ করার মতো অবস্থায় থাকছে না। ভারতের ১.৪ বিলিয়ন নাগরিকদের মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশের এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে৷ যার অর্থ কয়েক মিলিয়ন মানুষ যখন তাদের শরীর হিটস্ট্রোকের বিন্দুতে পৌঁছায় তখন তারা নিজেকে ঠান্ডা করতে পারে না।
কোন রাজ্যে কি অবস্থা!
আইএমডি অনুসারে, উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতে আগামী কয়েকদিন তাপপ্রবাহের অবস্থার উন্নতি হবে না৷ তবে মে-র শেষ থেকে তাপপ্রবাহ কমার কথা বলছে আবহাওয়া দফতর। যদিও পচিমবঙ্গ সহ দক্ষিণের বেশ কিছু বৃষ্টিপাত সাময়িক স্বস্তি দিয়েছে৷ গত সপ্তাহ পর্যন্ত রাজস্থান, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ, মধ্যপ্রদেশ এবং পূর্ব উত্তর প্রদেশের বেশিরভাগ অংশ সহ পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তিশগড় এবং তেলেঙ্গানার উত্তর অংশে সর্বাধিক তাপমাত্রা ছিল ৪৩ থেকে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস! বৃষ্টিপাতের পরও তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া মন্ত্রক।
সবচেয়ে উষ্ণ মার্চ-এপ্রিল!
২০২২ এ ভারত ১২২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম মার্চ-এপ্রিল মাসের রেকর্ড করেছে৷ মার্চ ২০২২ এর মাসিক গড় তাপমাত্রা ৩৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্পর্শ করেছিল! যা ২০১০ সালের ৩৩.০৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সর্বকালের রেকর্ডকেও ভেঙে দিয়েছে! ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহের ফলে, মহারাষ্ট্র এবং রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতে বিদ্যুতের চাহিদার তীব্র বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে বড় অংশে বিদ্যুৎ ঘাটতি শুরু হয়েছে৷ এই দুই রাজ্য ছাড়াও গুজরাট এবং অন্ধ্রপ্রদেশে, তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে শিল্প কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
বিদ্যুৎ-এর ঘাটতি মানুষকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে!
বিদ্যুৎ-এর বাড়তি চাহিদার, তাপপ্রবাহের সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে কয়লার ঘাটতি! যা মানুষের জীবনলে আরও দুর্বিসহ করে তুলেছে! কদিন আগেই দিল্লিতে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অভিযোগ তুলেছিলেন রাজধানী শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় এরকম বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে একদিনের মাত্র কয়লা মজুা রয়েছে৷ বিশেষজ্ঞরা জলবায়ুর পরিবর্তন ও মানুষের প্রকৃতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কাজের কারণে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এফেক্ট হিসেবেই পুরো বিষয়টিকে দেখছেন! যদিও বিজ্ঞানীরা বলছেন এবার আর ১২২ বছর অপেক্ষা করতে হবে না প্রতি চারবছর অন্তরই এই অবস্থার পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে!
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাত-কালবৈশাখী! ধূলোর ঝড়ের সম্ভাবনায় হলুদ সতর্কতা জারি আবহাওয়া দফতরের