ছেলের শেষকৃত্য হল কেরলে, দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি তা দেখলেন মা–বাবা
ছেলের শেষকৃত্য হল কেরলে, দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি তা দেখলেন মা–বাবা
প্রিয় মানুষকে শেষ বিদায় জানানো খুবই কঠিন। কিন্তু তার চেয়েও কঠিন যখন সেই প্রিয় মানুষকে শেষ বিদায় জানাচ্ছেন আপনি অনেক দূর থেকে। সেরকমই এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হল দুবাইয়ে থাকা এক ভারতীয় পরিবারের। লকডাউনের কারণে বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ছেলের শেষকৃত্য ভিডিও কলের মাধ্যমেই দেখলেন ভারতে থাকা তাঁদের পরিবার।
ভার্চুয়ালি ছেলের শেষকৃত্য দেখল পরিবার
করোনা ভাইরাসেরে জেরে লকডাউনের কারণে পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। সে কারণে ওই পরিবার তাঁদের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছেলের দেহ একাই কেরলে পাঠিয়ে দেয়। ফেসবুকের মাধ্যমেই মা-বাবা কেরলে ভার্চুয়ালি ওই কিশোরের শেষকৃত্য দেখে। ২০০৪ সালের ইস্টারের দিন জন্ম নেয় জুয়েল জি জোমে, ক্যান্সারের সঙ্গে সাতবছর লড়াই করে গুড ফ্রাইডের দিন মারা যায়। ১১ এপ্রিল তার ১৬ বছরে পা দেওয়ার কথা ছিল। শারজাতে জেমস মিলেনিয়াম স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিল জুয়েল। দুবাইয়ের হাসপাতালে দু'সপ্তাহ আগেই সে ভর্তি হয় এবং সেখানেই সে মারা যায়।
মৃত ছেলের দেহ এসে পৌঁছেছে কেরলে
তার মা-বাবা ও দু'জন ছোট ভাই সহ তার শোকাহত পরিবারের ইচ্ছা ছিল জুয়েলের শেষকৃত্য হোক তাদের আদিবাড়ি কেরলের পাথানমথিতায়। করোনা ভাইরাসের জন্য লরকডাউনের কারণে তা সম্ভব হচ্ছিল না। কিছু সরকারি আধাকারিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমর্থনে কিছুদিন এই নিয়ে লড়াইয়ের পর পরিবার ছেলের দেহ বুধবার কার্গো বিমানে করে কেরলে পাঠাতো সফল হয়। যদিও জুয়েলের পরিবারের কেউই ওই বিমানে করে যেতে পারেনি। জুয়েলের এক জ্ঞাতি ভাই বলে, ‘এত শীঘ্র কোনও বিমানেই অনুমোদন পাওয়া যায়নি। জুয়েলের বাবা আসতে চেয়েছিল কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু অবশেষে আমরা জুয়েলের দেহ পাঠাতে সফল হয়েছি। আমাদের যাঁরা সমর্থন করেছেন তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।'
শেষকৃত্যের জন্য বিশেষ অনুমতি
লকডাউনের কারণে সকলের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে ও সামাজিক দুরত্ব বজায়ের নিয়ম জারি রয়েছে সেই কারণে এমিরেটস কার্গোতে করে দেহ মুহাইস্নাহে পৌঁছানোর আগেই প্রার্থনা সেরে নিতে হবে। জুয়েলের জ্ঞাতি বোন জানিয়েছে যে তাঁর ভাইয়ের শেষকৃত্যের জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হয়েছে।