উন্নাওয়ের ধর্ষিতার অবস্থা আশঙ্কাজনক, তদন্তের জন্য সিট গঠন
উন্নাওয়ের ধর্ষিতার অবস্থা আশঙ্কাজনক, তদন্তের জন্য সিট গঠন
বৃহস্পতিবার উন্নাওয়ের আর এক ধর্ষিতাকে পাঁচজন মিলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। আক্রান্তকে ভর্তি করা হয়েছে সফদরজঙ্গ হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ধর্ষিতার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। ২৩ বছরের ওই তরুণীকে বৃহস্পতিবারই উত্তরপ্রদেশের উন্নাও থেকে দিল্লিতে বিমানে করে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়। ধর্ষিতাকে প্রথমে মারধর করে তারপর তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে ধর্ষিতার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসকরা তাঁকে উন্নাওয়ের হাসপাতাল থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর করার জন্য বলেন। আক্রান্তের বোন সংবাদমাধ্যমের কাছে এক বিবৃতিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। উন্নাওয়ের এই ঘটনা এমন এক সময়ে হয়েছে যখন দেশজুড়ে মহিলাদের ওপর যৌন হেনস্থা প্রকাশ্যেই করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে আক্রান্ত যখন আদালতে যাচ্ছিলেন তখন তাঁর পথ আটকায় পাঁচ অভিযুক্ত। তারা ওই তরুণীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশের আইজি প্রবীণ কুমার জানিয়েছেন যে ওইদিনই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ঘটনার দ্রুত তদন্ত হচ্ছে।
এই ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। যার নেতৃত্বে রয়েছেন এএসপি স্তরের পুলিশ আধিকারিক। জানা গিয়েছে, চার্জশিট তৈরি করতে পুলিশি গাফিলতির জন্য ধর্ষকরা জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। এরপরই তারা ধর্ষিতার ওপর হামলা করে। বৃহস্পতিবার তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে আসার পর বিমানবন্দর থেকে গ্রীণ করিডর করে দিল্লি পুলিশ তাঁকে সফদরজঙ্গ হাসপাতালে নিয়ে আসে। ১৮ মিনিটে ১৩ কিমি রাস্তা অতিক্রম করে অ্যাম্বুলেন্স। আক্রান্তের চিকিৎসার জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে হাসপাতালে।
ধন্যবাদ তেলঙ্গানা পুলিশ, হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বলিউডের অভিনন্দন