কোন গোপন অস্ত্রে জঙ্গিদের খুঁজে বের করে ভারত, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রতিরক্ষা থেকে সীমান্ত সুরক্ষা সব জায়গাতেই ভারতীয় সেনা প্রযুক্তির উপরে নির্ভর করেই শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করে চলেছে।
সীমান্তে প্রহরার ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র যে প্রযুক্তি তা নিয়ে এখন আর দ্বিমত নেই। প্রতিরক্ষা থেকে সীমান্ত সুরক্ষা সব জায়গাতেই ভারতীয় সেনা প্রযুক্তির উপরে নির্ভর করেই শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করে চলেছে। শুধু তাই নয়, পুলিশ ফোর্সের কাছেও অপরাধের কিনারা করতে প্রযুক্তিই বড় ভরসা।
এক্ষেত্রে ডেটা অ্যানালিটিক্স সংস্থাগুলি সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা। এরকমই গুরগাঁওয়ের একটি ডেটা অ্যানালিটিক্স সংস্থা ক্রেয়ন সিস্টেমসের মালিক তুষার ছাবড়া জানাচ্ছেন, তাঁদের কাছে সীমান্তে মুভমেন্টের ২০ টিবি ডেটা রয়েছে। যা আগে সেনার তরফে রেকর্ড করতে হতো। এর মধ্যে রয়েছে থার্মাল ইমেজ, কীভাবে মানুষ সীমান্তে চলাফেরা করে, সীমান্ত পার করার চেষ্টা, রাতে সীমান্তের দুপারে কী করে ইত্যাদি।
যেমন ভারত-পাক সীমান্তের দুই পারের জঙ্গিরাই সীমান্তের একেবারে কাছে প্রথমে গো-পালকদের পাঠায়। সীমান্তে সেনার অবস্থান জানাই তাদের কাজ। সেই ঘটনার প্রায় ১০-১২ দিনের মাথায় সীমান্ত পার করার চেষ্টা হয়। এই ধরনের পুরনো ছবি ও ভিডিও ডেটা অ্যানালিটিক্সের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে ভারতীয় সেনা সীমান্ত সুরক্ষাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
দিল্লির ইনেফু ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা তরুণ উইগ অ্যানালিটিক্স সহায়তা দেন বিএসএফ, সিআরপিএফ ও বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ দফতরকে। বিভিন্ন ডেটা বিশ্লেষণ করে হিংসা ছড়াতে পারে এমন ঘটনার আগাম খবর, বিক্ষোভ-প্রতিবাদের আগাম খবর জানিয়ে দেয়।
কারণ কোনও ইস্যুতে সারা দেশে বিক্ষোভ শুরু হলে স্যোশাল মিডিয়া পোস্ট থেকে শুরু করে হ্যাশট্যাগ, সংবাদ নানা জায়গায় তার আঁচ পাওয়া যায়। যেগুলি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মেশিন ল্যাঙ্গোয়েজ অ্যালগোরিদমে ফেলে তা থেকে আভাস বের করার চেষ্টা করা হয়। এছাড়া সীমান্তে মাদক চোরাচালান, জাল টাকার হাতবদল সম্পর্কে হদিশ পেতেও ভরসা সেই ডেটা অ্যানালিটিক্সই।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ভারতে ডেটা অ্যানালিটিক্সের বাজার মূল্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০টির বেশি ফার্ম এর উপরে কাজ করছে। ৫ থেকে ২০০ জনের মতো কর্মী রয়েছে এই সমস্ত সংস্থাগুলিতে। আগামিদিনে এই সংস্থাগুলি আরও ভালো কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।