বড় শহর গুলি থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের দেশে ফেরায় আরও বাড়তে পারে আর্থিক সঙ্কট
বড় শহর গুলি থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের দেশে ফেরায় আরও বাড়তে পারে আর্থিক সঙ্কট
করোনা প্রাদুর্ভাবের জেরে লকডাউন চলাকালীন সারা দেশের কয়েক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে গ্রামে ফিরেছেন। এরফলে তাদের অভিবাসনের পরিবর্তন হয়েছে, অর্থাৎ কাজের জন্য গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার বদলে তারা কাজ হারিয়ে শহর থেকে গ্রামে ফিরেছেন। একটি সংবাদ মাধ্যমের সমীক্ষা বলছে, এরফলে দেশীয় অর্থনীতি বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। পাশাপাশি এই পরিস্থিতি থেকে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করাও বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।
বিপরীত অভিবাসন বা অভিবাসনের পরিবর্তন কেন হচ্ছে ?
গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসন যে কোনও দেশের উন্নয়নেরই মূল চাবিকাঠি। ভারতের ক্ষেত্রে, কৃষিতে উদ্বৃত্ত শ্রম অনেক সমেই অর্থনীতির মজবুতি ও উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক হয়। তবে, শহরাঞ্চলে বেশিরভাগ পরিযায়ী চাকরিতেই সামাজিক সুরক্ষার অভাব রয়েছে। করোনার সঙ্কটকালে তাই অধিকাংশ পরিযায়ী শ্রমিকই লকডাউনে তাদের কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
গ্রামে কি তাদের কাজ মিলবে পরিযায়ীদের?
লকডাউনের জেরে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকেরা ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরেছেন, সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার অনুযায়ী আগামী ১৫দিনের মধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে ফিরবেন আরও কয়েক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু, কৃষিনির্ভর দেশে গ্রামাঞ্চলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান কঠিন হয়ে পড়বে। এছাড়াও কৃষির উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা এবং বৈচিত্র্যময় অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর অভাব বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরীর পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
শহরে আদৌ ফিরবেন পরিযায়ীরা?
বিশেষজ্ঞদের ধারণা হয়তো করোনার প্রকোপ কমে দেশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেই এই বিপরীত স্থানান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ হবে। এছাড়াও, গ্রামীণ অর্থনৈতিক পরিকাঠামো পরিযায়ী শ্রমিকদের মজুরি প্রত্যাশার সঙ্গে মেলে না, ফলত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই তারা পুনরায় শহরে পাড়ি দেবে বলেই আশা করা যায়। পাশাপাশি, ভারতে উন্নয়ন অব্যাহত থাকলে আবারও নতুন নতুন কর্মসংস্থান হবে, যা গ্রামাঞ্চল থেকে শহরাঞ্চলে অভিবাসনের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
দেশীয় অর্থনীতিতে কীভাবে প্রভাব ফেলে অভিবাসন পরিবর্তন?
লকডাউনের পর দেশে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ শুরু হতেই, বিপুল পরিমান শ্রমের ঘাটতি দেখা দেবে এই অভিবাসন স্থানান্তরের ফলে। এর ফলে দেশীয় অর্থনীতির মাথা তুলে দাঁড়াতে অনেক সময় লাগতে পারে, যার জেরে হেলে পড়তে পারে গোটা দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোই। শহরাঞ্চলের নির্মাণ শিল্পে ইতিমধ্যেই শ্রমের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়া, কৃষিক্ষেত্রে অনাভ্যাসের কারণে পরিযায়ীদের উৎপাদনশীলতা স্বাভাবিকভাবেই কম হওয়ায় এর ফলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশীয় অর্থনীতি। বাড়বে বেকারত্বের সমস্যা।
করোনা স্বাস্থ্যবিমার কাগজ না পেল শ্যুটিং নয়, দাবিতে অনড় আর্টিস্ট ফোরাম, ফের থমকে গেল টলি পাড়া