আরুষি মামলায় রাজেশ ও নুপূরের বেকসুর খালাসের পর যে প্রশ্নটা রয়েই গেল
রাজেশ-নুপূর যদি আরুষিকে না হত্যা করে থাকেন তাহলে তাঁদের মেয়েকে কে হত্যা করল?
২০০৮ সালের ১৬ মে ঘটা একটি খুনের ঘটনা ভারতের সবচেয়ে বড় 'আনসলভড মিস্ট্রি'-র একটি হয়ে দাঁড়াবে তা অনেকেই অনুমান করেননি। নয়ডার এক স্বচ্ছ্বল পরিবারের মেয়ের খুন হয়ে যাওয়া যে সারা দেশে এক নজির তৈরি করবে এবং সেই ঘটনায় তার বাবা-মাকে হয়রান হতে হবে তা ঘটনার পরপর বোঝা যায়নি। [আরও পড়ুন : ২০০৮-২০১৭; আরুষি হত্যায় যেভাবে বারবার বদলেছে প্রেক্ষাপট]
প্রথমে সন্দেহ করা হয়েছিল বাড়ির পরিচারক হেমরাজকে। তবে পরের দিন ১৭ মে ফ্ল্যাটের ছাদে রক্তাক্ত হেমরাজের দেহ উদ্ধার হয়। ফলে তিনি বাদ যান। তারপরে পুলিশের সন্দেহ হয় পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে মেয়ে আরুষিকে হত্যা করেছে রাজেশ ও নুপূর তলওয়ার। তাদের গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার দায়িত্ব নেয় সিবিআই। লাই ডিটেক্টর টেস্ট করা হয় রাজেশ ও নুপূরের। নারকো টেস্টও করা হয়। এভাবেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি এগিয়েছে।
এসবের মাঝে সন্দেহের তালিকায় থাকা আর এক পরিচারক বিষ্ণু শর্মাকে প্রথমে গ্রেফতার করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ও সিবিআই এটা মেনেই চলে যে রাজেশ ও নুপূর তলওয়ারই মেয়েকে খুন করেছেন।
সেইমতো সাক্ষী, সওয়াল-জবাবের শেষে ২০১৩ সালে গাজিয়াবাদের বিশেষ সিবিআই আদালত মেয়ে আরুষিকে হত্যার দায়ে রাজেশ ও নুপূর তলওয়ারকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে। পাশাপাশি হেমরাজের হত্যাতেও এই দুজনকেই দোষী বলে ঘোষণা করে আদালত।
সেই ঘটনার পরে রাজেশ-নুপূর এলাহাবাদ উচ্চ আদালতে আপিল করলে এদিন সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তাঁদের বেকসুর খালাস করা হয়েছে। এই রায়ের পর এখন সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, তা হল, রাজেশ-নুপূর যদি আরুষিকে না হত্যা করে থাকেন তাহলে তাঁদের মেয়েকে কে হত্যা করল? এই প্রশ্নের উত্তর কি আদৌও পাওয়া যাবে? প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যাচ্ছে।