ক্রমাগত ১৫ দিন ধরে বেড়ে চলেছে জ্বালানি তেলের দাম, নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণের
ক্রমাগত ১৫ দিন ধরে বেড়ে চলেছে জ্বালানি তেলের দাম, নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণের
করোনা সঙ্কটের মধ্যেই এই নিয়ে লাগাতার ১৫ দিন দাম বাড়লো জ্বালানি তেলের। রাষ্ট্রীয় তেল বিপণন সংস্থাগুলির দামের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, রবিবার পেট্রোলের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি ৩৫ পয়সা এবং ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি ৬০ পয়সা। বিগত ১৫ দিনে পেট্রোলের দাম বেড়েছে মোট ৭.৯৭ টাকা প্রতি লিটার এবং ডিজেলের দাম বেড়েছে ৮.৮৮ টাকা প্রতি লিটার।
দিল্লি–কলকাতাতেও দাম বেড়েছে
দাম বৃদ্ধির পর দিল্লিতে আজ এক লিটার পেট্রোলের দাম হয়েছে ৭৯.২৩ টাকা এবং এক লিটার ডিজেলের দাম হয়েছে ৭৮.২৭ টাকা। দিল্লির পাশাপাশি কলকাতা, চেন্নাই ও মুম্বইতেও দাম বেড়েছে জ্বালানি তেলের। আজ কলকাতাতে লিটার প্রতি পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য যথাক্রমে ৮০.৯৫ টাকা ও ৭৩.৬১ টাকা। স্থানীয় বিক্রয় কর বা ভ্যাটের ঘটনার উপর নির্ভর করে দেশজুড়েই দাম বাড়ানো হয়েছে এবং একের পর এক রাজ্যে দাম পরিবর্তিত হয়।
মুম্বই, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে তেলের দাম বৃদ্ধি
এদিনের দাম বৃদ্ধির পর মুম্বইতে পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ৮৬.০৪ টাকা ও ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৭৬.৬৯ টাকা। চেন্নাইতে প্রতি লিটার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম যথাক্রমে ৮২.৫৮ টাকা ও ৭৫.৮০ টাকা। বেঙ্গালুরুতে এক লিটার পেট্রোলের দাম ৮১.৮১ টাকা এবং এক লিটার ডিজেলের দাম ৭৪.৪৩ টাকা।
লকডাউনের সময় তেলের দাম নির্ধারণ করা বন্ধ রাখা হয়
লকডাউনের কারণে টানা ৮২ দিন জ্বালানি তেলের প্রতিদিনের দাম নির্ধারণ করা বন্ধ রেখেছিল তেল কোম্পানিগুলো। গত ৬ জুন থেকে তা পুনরায় শুরু হয় এবং এরপর প্রতিদিনই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা সঙ্কটের মাঝে মানুষের হাতে যখন টাকা নেই তখনই লাগাতার দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে তেল কোম্পানিগুলি। কেন্দ্রের কাছে বারবার এই মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানার দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু সে কথা কানে না তুলে উল্টে গত ৫ মে পেট্রোল এবং ডিজেলের ওপর লিটার প্রতি যথাক্রমে ১০ টাকা এবং ১৩ টাকা এক্সাইজ ডিউটি বাড়ায় সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, আয় বাড়াতে তেলের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছে কেন্দ্র।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তেলের দাম দু’দশকের মধ্যে হ্রাস পেয়েছে
তেল পিএসইউস ইন্ডিয়ান অয়েল কর্প কর্পোরেশন (আইওসি), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্প কর্পোরেশন (বিপিসিএল) এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্প কর্পোরেশন (এইচপিসিএল) গ্রাহকদের উপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর পরিবর্তে, সরবরাহিত খুচরা হারের পতনের বিরুদ্ধে তাদের সামঞ্জস্য করেছিল কারণ আন্তর্জাতিক তেলের দাম দু'দশকের কমে যাওয়ার কারণে তা নিশ্চিত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তেলের দামগুলি তখন থেকে প্রত্যাবর্তনশীল এবং তেল সংস্থাগুলি এখন তাদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে খুচরা হারগুলি সামঞ্জস্য করছে।
লকডাউনের জেরে অনেকটাই কমেছে আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় হাসপাতালে ভর্তির হার, বলছে সমীক্ষা