লকডাউনের ফাঁড়া কাটতে না কাটতেই একধাক্কায় ৫০ শতাংশ বাড়ল বিমানের জ্বালানির দাম
লকডাউনের ফাঁড়া কাটতে না কাটতেই একধাক্কায় ৫০ শতাংশ বাড়ল বিমানের জ্বালানির দাম
পরিষেবা শুরু হতে না হতেই একলাফে প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ল বিমানের জ্বালানির দাম। বর্তমানে এক কিলোলিটার অ্যাভিয়েশন টারবাইন ফুয়েলের দাম বেড়ে হয়েছে ৩৩৫৭৫ টাকা, যা আগের থেকে প্রায় ১১ হাজার টাকা বেশি।
পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও যাত্রী চাহিদা অনেকটাই কম
প্রায় দু-মাস লকডাউনের ধাক্কার পর ২৫মে থেকেই একটু একটু করে স্বাভাবিক হচ্ছে দেশের বিমান পরিষেবা। এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই করোনা ভাইরাস এবং লকডাউনের ধাক্কায় এমনিতেই ধুঁকছে বিমান সংস্থাগুলি। পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও বর্তমানে যাবতীয় বিধিনিষেধ মানার ঝক্কি, সংক্রমণের ভয়, আর্থিক মন্দার কারণে টিকিটের চাহিদা খুব একটা নেই বলেই জানা যাচ্ছে।
ফেব্রুয়ারিতে কেমন ছিল জ্বালানির দাম
এরই মাঝে বিমানের জ্বালানির বড় মাত্রায় মূল্যবৃদ্ধিতে সংস্থা গুলিকে বড়সড় সঙ্কটের মুখে পড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লিতে এক কিলোলিটার বিমান জ্বালানির দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকার আশেপাশে। মার্চ মাসের শুরু থেকেই তা নিম্নমুখী হয়। তার পর একটানা দু'মাসেরও বেশি সময় বিমান চলাচল প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল।
আগামী বেশ কিছুদিন টিকিটের চাহিদা তলানিতেই থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা
এখন পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও যাত্রী চাহিদা অনেকটাই কম থাকবে এ কথা অনেকেই এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন। এই বিষয়ে সমীক্ষা চালানো অনেক সংস্থাই মনে করছে করোনা বিধিনিষেধ ও সংক্রমণের ভয়ে আগামী কয়েক মাসে অনেকে বিমান পরিষেবা এড়িয়ে চলবেন। আর এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিমান সংস্থা গুলি। তার মধ্যে গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও চওড়া হচ্ছে তাদের।
মানুষ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেই বাড়বে টিকিটের চাহিদা
বর্তমানে কেন্দ্র সরকারের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও ১৮০ আসনের বিমানগুলিতে এখন গড়ে ১০০ জনেরও কম যাত্রী উঠেছেন। তবে দেশে অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর হাল ফিরলে, মানুষ আবারও তার পুরনো কর্মব্যস্ত জীবনে ফিরে গেল বিমানের টিকিটের চাহিদা খানিক বাড়বে বলে আশাবাদী বিমান সংস্থা গুলি।
ভারত-চিন সংঘাতে সিকিমে শহিদ ১৫৮ সেনা! ভাইরাল খবরের পিছনে আসল সত্যি কী?