রাহুলের ভরসা অভিজ্ঞতাতেই, মধ্যপ্রদেশের মসনদে বসার আগে এক ঝলকে কমলনাথ
মধ্যপ্রদেশের তখতে অভিজ্ঞতাকেই শেষপর্যন্ত প্রাধান্য দিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। তরুণ-তুর্কি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে পিছনে পেলে অবশেষে তিনিই বসতে চলেছেন মধ্যপ্রদেশের মসনদে।
মধ্যপ্রদেশের তখতে অভিজ্ঞতাকেই শেষপর্যন্ত প্রাধান্য দিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। তরুণ-তুর্কি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে পিছনে পেলে অবশেষে তিনিই বসতে চলেছেন মধ্যপ্রদেশের মসনদে। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন সেই ছাত্রজীবন থেকেই। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী তাঁর হাতে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের ভার তুলে দিয়েছিলেন। মধ্যপ্রদেশের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর এবার তাঁর হাতেই মধ্যপ্রদেশের দায়িত্ব। তিনিই হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী।
সংসদীয় রাজনীতিতে অতি পরিচিত নাম
সংসদীয় রাজনীতিতে অতি পরিচিত এক নাম কমল নাথ। ১৬তম লোকসভায় প্রোটেম স্পিকার হিসাবে নিযুক্ত হন তিনি। মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ন-বার নির্বাচিত হয়েছিলেন সাংসদ হিসেবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। জাতীয় রাজনীতিত বহু গুরু দায়িত্ব তিনি পালন করেছেন। সবশষে ২০১৫ সালে মে মাসে তাঁকে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছিল। তিনি রাহুল গান্ধীর আস্থার পূর্ম মর্যাদা রেখেছেন।
১০৮০ সালে থেকে সংসদে
১৯৮০ সাল থেকে তিনি সংসদীয় রাজনীতিতে রয়েছে। সপ্তম লোকসভায় প্রথমবার নির্বাচিত হন তিনি। এরপর অষ্টম, নবম ও দশম লোকসভাতেও তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রী মনোনীত হন। ১৯৯৫ সাল থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় টেক্সটাইল (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
আইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক
এরপর তিনি ফের ১৯৯৮ সালে ১২তম লোকসভা ও ১৯৯৯ সালে ১৩ তম লোকসভাতেও সাংসদ নির্বাচিত হল। ২০০১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি আইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০৪ সালের ১৪তম লোকসভা নির্বাচনে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন কমলনাথ।
অবলীলায় সামলেছেন অতিরিক্ত দায়িত্ব
২০০৯ সালেও তিনি ফের নির্বাচিত হয়ে মনমোহন-মন্ত্রিসভার সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ২০১১ সালে মন্ত্রিসভায় রদবদলে কমল নাথ নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব পান। ২০১২ সালের অক্টোবরে তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব পান সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের।
ষোড়শ লোকসভায় প্রোটেম স্পিকার
২০১২ সালের শেষদিকে কমল নাথ ইউপিএ সরকার এফডিআই বিতর্ক জয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। প্ল্যানিং কমিশনের নির্বাহী সদস্য হিসাবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন কমলনাথ। ষোড়শ লোকসভায় প্রোটেম স্পিকার ছিলেন তিনি। সংসদ সদস্য হিসাবে সকল নির্বাচিত সদস্যের শপথ পরিচালনার দায়িত্ব পড়েছিল তাঁর উপরই।
কমল নাথেই ভরসা রাহুলের
এরপর রাহুল গান্ধী মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রবীণ কমলনাথের উপর ভরসা করেন। তাঁকে দায়িত্ব দেন সমস্ত গোষ্ঠীকে এক করে এগিয়ে চলতে। একদিকে দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, অন্যদিকে তরুণ-তুর্কি সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কমল নাথ দক্ষ নেতার মতোই সামলেছেন সমস্ত গোষ্ঠীকে। এমনকী মধ্যপ্রদেশ জয়ের পরও তিনি দিগ্বিজয় সিং ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে সঙ্গে নিয়ে সমস্ত কাজ শুরু করে দেন সরকার গড়ার লক্ষ্যে।