কর্নাটকের রাজনৈতিক সংকটে বিজেপির 'হাত'! প্রমাণ দিল রাজ্য কংগ্রেস
জনতা দল সেকুলার প্রধান দেবে গৌড়া কর্নাটকে রাজনৈতিক সংকটের জন্য সিদ্দারামাইয়াকে দায়ী করলেন, এই প্রক্রিয়ায় নাম জড়িয়েছে বিজেপিরও।
জনতা
দল
সেকুলার
প্রধান
দেবে
গৌড়া
কর্নাটকে
রাজনৈতিক
সংকটের
জন্য
সিদ্দারামাইয়াকে
দায়ী
করলেন,
এই
প্রক্রিয়ায়
নাম
জড়িয়েছে
বিজেপিরও।
যে
চাটার্ড
প্লেনে
১০
বিদ্রোহী
বিধায়ককে
বেঙ্গালুরু
থেকে
মুম্বই
নিয়ে
যাওয়া
হয়,
তা
বিজেপির
রাজ্যসভার
সদস্য
রাজীব
চন্দ্রশেখরের
কোম্পানির।
সূত্রের
দাবি
এমনটাই।
ওই
চাটার্ড
বিমান
জুপিটার
ক্যাপিটাল
প্রাইভেট
লিমিটেডের।
যার
প্রতিষ্ঠাতা
ও
চেয়ারম্যান
হলেন
রাজীব
চন্দ্রশেখর।
জুপিটার ক্যাপিটারের আধিকারিকরা অবশ্য জানিয়েছেন, তারা ব্যবসা করছেন। যে চাইবেন, এই বিমান ভাড়া করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তারা। এই বিমান প্রতিদিন অনেকেই ভাড়া নেন বলে দাবি করা হয়েছে সংস্থার তরফে। যদিও এক্ষেত্রে বিমানটি কে ভাড়া করেছিলেন, তা বলতে চাননি কম্পানির আধিকারিকরা।
কংগ্রেসের তরফ থেকে ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে, তারা কর্নাটকে জোট সরকার ভাঙতে চায়। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মল্লিকার্জুন খার্গে এবং কর্নাটকের জল সম্পদমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের মুখে কর্নাটকের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে একই সুর। বিজেপিই দায়ী। রাজ্য কংগ্রেসের মুখপত্র দাবি করেছেন, হ্যালের বিমানবন্দরে চাটার্ড বিমান রেডি করা ছিল। রাজ্যপালের সঙ্গে বিদ্রোহী বিধায়করা কথা বলার পরেই সোজা চলে যান এয়ারপোর্টে। সেই দলে ছিলেন ১০ বিধায়ক। তাঁরা এই মুহুর্তে মুম্বইয়ের হোটেলে রয়েছেন।
অন্যদিকে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনায় তারা জড়িত নয়। জোট সরকারের দুই দলের বিরোধের জেরেই সংকট বলে দাবি করেছে বিজেপি।
শনিবার কর্নাটক জোট সরকারের সমর্থনকারী ১২ বিধায়ক বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগের চিঠি দেওয়ার পরেই রাজ্যে রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হয়। রাজ্য বিধানসভায় ২২৪ বিধায়কের মধ্যে জোট সরকারে সমর্থন রয়েছে ১১৮ বিধায়কের। ১২ জনের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।