উত্তরসূরীদের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদের কাছে
উত্তরসূরীদের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদের কাছে
বেশিরভাগ
মানুষই
তাঁদের
উত্তরসূরীর
কাছ
থেকে
সম্পত্তি
বা
কোনও
সাংস্কৃতিক
প্রতিভা
অর্জন
করেন।
তবে
সবসময়
এমন
ব্যক্তিদেরও
পাওয়া
যায়
না,
ফাঁসিকাঠে
অপরাধীদের
মৃত্যুদণ্ড
দেওযার
রেওয়াজকে
বংশপরম্পরায়
বহন
করে
চলেছেন।
পবন
জল্লাদ
সেরকমই
একজন।
যে
ব্যক্তি
সমাজের
প্রত্যাখ্যানগুলির
জীবন
শেষ
করে
জীবিকা
নির্বাহ
করে।
চার প্রজন্ম ধরে পবনের পরিবার ফাঁসি দিচ্ছেন
গত চার প্রজন্ম ধরে পবনের পরিবার এই জল্লাদ সবা মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কাজ করে চলেছেন। এটা প্রথম শুরু করেন পবনের ঠাকুর্দা লক্ষ্মণ জল্লাদ ১৯৫০ সালে। তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসি দিতেন। এখন লক্ষণের প্রপৌত্রের ছেলে তাঁর প্রথম মৃত্যদণ্ড দিতে চলেছেন, তাও আবার সাতবছর ধরে চর্চিত নির্ভয়া গণধর্ষণ ও খুনের মামলার আসামিদের। পবন এর আগে তাঁর দাদু কালু রামকে মৃত্যুদণ্ডের সময় সাহায্য করতেন, সেখানেই তিনি পারিবারিক বাণিজ্যিক সাফল্যের কথা জেনে ছিলেন। পবন বলেন, 'এটা আমার উত্তরসূরীদের আর্শীবাদ। তাঁরা তাঁদের জীবনকালে একটা কি দু’টো ফাঁসি দিয়েছেন, কিন্তু আমি একবারেই চারজনকে একসঙ্গে ফাঁসি দেব।’
একশো বছরে এ ধরনের ফাঁসি হয়নি ভারতে
পবন কি তাহলে তাঁর উত্তরসূরীদের রেকর্ড ভাঙতে চলেছেন, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আপনি এটা বলতে পারেন কিন্তু তার সঙ্গে এটাও সত্য যে গত একশো বছরে কেউই একসঙ্গে চারজনকে ফাঁসি দেওয়ার সুযোগ পায়নি। আমি প্রথম যে এই সুযোগটা পেয়েছে। কিন্তু আমি আমার উত্তরসূরীদের চ্যালেঞ্জ করব এটা কখনোই ভাবিনি। তাঁরা আমার গুরু যাঁদের থেকে আমি এই শিক্ষাটা পেয়েছি।’ জানা গিয়েছে যখন পবনের বাবা মারা যান, তখন পরিবারের এই ঐতিহ্য কে বহন করবে তা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত হয় তাঁর ও তাঁর ভাইদের মধ্যে। অবশেষে, তাঁর ভাইরা এই পেশা থেকে সরে এসে সমস্ত কিছু পবনকে ছেড়ে দিলেন, যাঁকে উত্তরপ্রদেশের জেল প্রশাসন মাসিক ৫,০০০ টাকা বেতন দেয়।
দু’বার
ফাঁসি
দেওয়ার
সুযোগ
হারান
পবন
এর আগে মুম্বই হামলার অন্যতম হামলাকারী আজমল কাসভকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য পবন জল্লাদের কথা ভাবা হয়েছিল, কিন্তু পরিস্থিতি তাঁর বিরুদ্ধে চলে যায়। এরপর সংসদ হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আফজল গুরুকেও ফাঁসিকাঠে ঝোলানোর জন্য পুনরায় পবনকে লিভার টানার কাজে ডাকা হয়, কিন্তু পরে তাঁকে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়। তবে বর্তমানে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ নির্ভয়ার সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসি দেওয়ার জন্য নির্দিষ্টভাবে পবন জল্লাদের কথা উল্লেখ করে দু’বার চিঠি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ জেল কর্তৃপক্ষকে। তাই এবার পবন আশাবাদী যে তিনি তাঁর পরিবারের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর উত্তরসূরীদের হাতেই ফাঁসি হয়েছে কাশ্মিরী জঙ্গি মকবুল ভাট এবং খুনী বিল্লা–রঙ্গার। তবে ভারতে প্রথমবার একজন জল্লাদ একই কারাগারে চারজনের ফাঁসি কার্যকর করবেন। পবন জল্লাদের আনন্দ করার জন্য এই কারণই যথেষ্ট।