দেশব্যাপী গরুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো প্রায় ১৮ শতাংশ
সম্প্রতি দেশের পশুপালন ও গবাদিপশু বিভাগের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে দেশ জুড়ে গৃহপালিত প্রাণিজসম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ালো প্রায় ৪.৬ শতাংশ। অন্যদিকে যখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ‘গরু চোর’ ও গরুর মাংস খাওয়ার
সম্প্রতি দেশের পশুপালন ও গবাদিপশু বিভাগের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে দেশ জুড়ে গৃহপালিত প্রাণিজসম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ালো প্রায় ৪.৬ শতাংশ। অন্যদিকে যখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে 'গরু চোর' ও গরুর মাংস খাওয়ার অপরাধে গণধোলাইয়ের পরিমাণ ক্রমবর্ধমান ঠিক সময় বর্তমান গো-সুমারির রিপোর্ট দেখে চোখ কপালে তুলছেন অনেকেই।
২০১২-র গো-সুমারির পর শুধুমাত্র দেশব্যাপী গরুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে দেশ জুড়ে বর্তমানে স্ত্রী প্রজাতির বাছুরের সংখ্যা প্রায় ১৪.৫২ কোটির সংখ্যা ছাড়িয়েছে। যা ২০১২-র তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ বেড়েছে বলেও দেখা যাচ্ছে। একইসাথে গৃহপালিত পশুর সঙ্গে মোট প্রাণীজ সম্পদের পরিমাণও ২০১২-র তুলনায় প্রায় ৫৩ কোটি বেড়েছে বলেও দেখা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে পশুপালন ও গবাদিপশু বিভাগের ওই রিপোর্টে চোখ রাখলে দেখা যায় ২০১২ গো-সুমারির পর গবাদি পশুর পাশাপাশি দেশব্যাপী মোষের সংখ্যা ১ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে প্রায় ১০ কোটির কাছাকাছি।
পাশাপাশি গৃহপালিত পশুদের উপর চালানো এই পরিসংখ্যানের হিসাব শেষে দেখা যায় দেশজুড়ে ছাগল, ভেড়া, বাছুর, ও মোষের সংখ্যা যথাক্রমে ২৭.৮ শতাংশ, ১৩.৮৭, ৩৫.৯৪ শতাংশ ও ২০.৪৫ শতাংশ বেড়েছে। দেশ ব্যাপী এই সমীক্ষা চালাতে বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসনের তরফে ৮০,০০০ পশু চিকিৎসকের বিশেষ প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয় বলে সরকারী সূত্রে খবর।