রাম মন্দিরের ভূমি পুজো দোরগোড়ায়, অযোধ্যায় করোনা চিত্র বলছে অন্য কথা
রাম মন্দিরের ভূমি পুজো দোরগোড়ায়, অযোধ্যায় করোনা চিত্র বলছে অন্য কথা
আর মাত্র এক সপ্তাহেরও কম সময় বাকি রয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভূমি পুজো। মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে আমন্ত্রিতদের সংখ্যা ২০০ জনের বেশি কখনই হবে না এবং ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে কোভিড–১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে কেউ যেন রাম মন্দির চত্ত্বরে ভিড় না করে। করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে অনেকেই এই অনুষ্ঠান নিয়ে নিজেদের ভয় প্রকাশ করেছেন।
ভয় ভিত্তিহীন নয়
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ডাটা ইন্টালিজেন্স ইউনিটের (ডিআইইউ) মাধ্যমে অযোধ্যা জেলার করোনা পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই জেলায় সক্রিয় ও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সুস্থ হওয়ার হারও বেশ কম। মন্দির কর্তৃপক্ষ এই ভূমি পুজো উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং যার জন্য ১৪ জন পুলিশ কর্মীকে মোতায়েন করা হবে। কিন্তু জানা গিয়েছে, ওই পুলিশ কর্মীদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ২৯ জুলাই পর্যন্ত, অযোধ্যা জেলায় মোট ৯৯৩টি করোনা কেস রিপোর্ট হয়েছে। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের এবং ৬০৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। যদিও গোচা পরিসংখ্যান দেখে অতটা আতঙ্কের মনে না হলেও, সময় সঙ্গে সঙ্গে চিত্রটা অন্যরকম হয়েছে।
অযোধ্যায় কেসের সংখ্যা বেড়েছে
এক সপ্তাহ আগে অযোধ্যায় ৭০৩টি কেস ছিল, যার মধ্যে ৪৩৮ জন সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু তার এক সপ্তাহের মধ্যে জেলায় ২৯০টি নতুন কেস সনাক্ত হয় ও ১২২ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বৃদ্ধি পেতে থাকে সক্রিয় কেস। এছাড়াও গত সপ্তাহ পর্যন্ত, অযোধ্যায় সুস্থতার হার ছিল ৬৮ শতাংশ এবং যা ২৯ জুলাইয়ে নেমে আসে ৬১ শতাংশে। গত সপ্তাহে অযোধ্যায় গড়ে ২১টি নতুন কেস সনাক্ত হয়। কিন্তু ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিদিনের ভিত্তিতে এক সপ্তাহে ৪৪টি কেস ধরা পড়ে। ডেটা বলছে, প্রতি ১২ দিন অন্তর অন্তর অযোধ্যায় কেস দ্বিগুণ হচ্ছে, যা ভারতে ২০ দিনে ও উত্তরপ্রদেশে ১৫দিনে কেস দ্বিগুণ হওয়ার ঘটনা ঘটছে।
এই মারণ ভাইরাসের লড়াইয়ে কোনো ফাঁক থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। বিশেষত সামনে যখন এত বড় উৎসব রয়েছে। জেলা প্রশাসনের মতে, ২৯ জুলাই মোটামুটি ১০০ জন মানুষ মন্দিরে আসে এবং তাঁদের করোনা ভাইরাসের টেস্ট করান ওহয়। একশোটি দ্রুত অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়েছে, যার মধ্যে একজন পুরোহিত ও ১৪ জন পুলিশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এই পুলিশ কর্মীর মধ্যে ৪ জন স্থায়ীভাবে মন্দিরের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং বাকি চারজনের মধ্যে তিনজন দমকল কর্মী ও একজন গোয়েন্দা বিভাগ থেকে রয়েছেন। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাসের কোভিড টেস্ট নেগেটিভ আসে। তবে তাঁর সহযোগী প্রদীপ দাসের রিপোর্ট পজিটিভ ছিল। তাঁকে বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
বাড়ানো হয়েছে টেস্টিং
টেস্টিং বেড়ে যাওয়ার কারণেই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্যে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে দৈনিক টেস্টিংয়ের সংখ্যা অযোধ্যায় গড়ে ৬০০, কিন্তু গত তিনদিনে তা বেড়ে দৈনিক ২০০০-এ পৌঁছেছে। প্রশাসনের মতে, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে মাথায় রেখে জেলা উল্লেখযোগ্যভাবে টেস্টিং বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং করোনা কেসের বৃদ্ধি পাওয়া উদ্বেগের কারণ হতে পারে না।
ধর্মীয় সমাবেশ ও করোনার সম্পর্ক
ধর্মীয় জমায়েতের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের সম্পর্ক যে নিবিড় তা প্রমাণ করেছে প্রথমে দক্ষিণ কোরিয়ার চার্চ থেকে শুরু করে দিল্লির তাবলিঘি জামাতের বার্ষিক ধর্মীয় সমাবেশ। বহু ধর্মীয় সমাবেশের কারণে বিশ্বজুড়ে গোষ্ঠী সংক্রমণ হু হু করে বেড়েছে।
১০-১৫ কোটি তে হবে না, রাজস্থানে বিধায়ক কিনতে আকাশ ছোঁয়া দর হাঁকছে বিজেপি, দাবি গেহলটের