কেরলের সোনা পাচার কাণ্ডের তদন্তে এনআইএ, চাপে পিনরাই বিজয়নের বাম সরকার
কেরলের সোনা পাচার কাণ্ডের তদন্তে এনআইএ, চাপে পিনরাই বিজয়নের বাম সরকার
কেরালার সোনা পাচার কাণ্ডের তদন্তভার তুলে দেওয়া হল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন অথরিটি বা এনআইএ-র হাতে। বৃহষ্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একথা জানানো হয়। দ্রুত কাস্টমসেরক হাত থেকে এই পাচার কাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া বুঝে নিতে চলেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে এনআইএ-র হাতে এই ঘটনার দায়ভার তুলে দেওয়ার দাবি আগেই জানিয়েছিল বিরোধীরা। এদিন যেন সেই দাবিতেই সাড়া দিল অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
এনআইএ-র হাতে দায়ভার যাওয়ায় অস্বস্তিতে কেরলের বাম সরকার
এদিকে এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দফতরেরও। ওই দফতরের প্রধান সচিবকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। আর এমতাবস্থায় এনআইএ এই ঘটনার দায়ভার নিয়ে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে কেরলের বাম সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরেই জোর তরজা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে এই গোটা ঘটনার সূত্রপাত গত ৪ঠা জুলাই। সূত্রের খবর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে বেআইনিভাবে ৩০ কেজি সোনা নিয়ে আসা হয় কেরলের তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে। এই সোনার বাজারমূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। পাচারের উদ্দেশ্যেই তা আনা হচ্ছিল বলে খবর।
অভিযুক্তেরা কেরলের আরব কনস্যুলেটে কাজ করতেন বলে জানা গেছে
বেআইনি ভাবে সোনা পাচারের কথা জানতে পেরেই তা বাজেয়াপ্ত করে আবগারি দফতর। ঘটনায় স্বপ্না সুরেশ নামের এক মহিলা এবং সরীথ কুমার নামের এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে। পরবর্তীতে সরীথ কুমারকে গ্রেফতারও করা হয়। এদিকে তারপরেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে নেমে আবগারি দফতরের আধিকারিকেরা জানতে পারেন ওই দুজনেই কেরলের সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কনস্যুলেটে দীর্ঘদিন থেকেই কাজ করতেন। এদিকে ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ওই সোনা পাওয়া গিয়েছে একটি কার্গো বিমানে। যে বিমানে নিয়মিত কাস্টমস বিভাগের পরীক্ষা হয় না।
সিবিআই তদন্তের দাবিতে মোদীকে চিঠি
এরপর বিরোধীরা অভিযোগ করেন, কোনও প্রভাবশালীর সাহায্যেই এই বিপুল মূল্যের সোনা কেরলে আনা হয়েছে। নাম জড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেরও। এদিকে তারপরেই পিনরাই বিজয়নকে নিশানা করে তোপ দাগতে শুরু করেন বিরোধীরা। অভিযোগ পুরো ঘটনাটি আগে থেকেই জানত মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। এরপরেই সিবিবিআই তদন্তের দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দেন কেরল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা।
সরিয়ে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের প্রধান সচিবকে
এদিকে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্ত স্বপ্না মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের প্রধান সচিব এম শিবশংকরের সঙ্গে পূর্ব পরিচিত ছিলেন। কেরালার তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানির জনসংযোগের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের প্রধান সচিবকে সরিয়েও দেওয়া হয় বলে জানা যায়। যদিও বিরোধীরা বারংবার অভিযোগ করে এই ঘটনার কথা আগে থেকেই জানত পিনরাই প্রশাসন। যদিও এই প্রসঙ্গে এখনও মুখে কুলুপ এঁটেই রয়েছেন কেরল প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
করোনা ঠেকাতে কড়া সিদ্ধান্ত যোগী সরকারের, ফের লকডাউনের আওতায় উত্তরপ্রদেশ