পুলওয়ামা হামলার একবছর পরও এনআইএ পেশ করতে পারেনি চার্জশিট
ঠিক একবছর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামাতে ফিঁদায়ে হামলা হয়েছিল সিআরপিএফ কনভয়ের ওপর। যার জন্য ৪০ জন জওয়ানকে প্রাণ দিতে হয়। অথচ একবছর পরও জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এখনও এই মামলার চূড়ান্ত তদন্ত শেষ করতে পারেনি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, যাদের ঘটনার পরপরই এই মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়, তারা এখনও চার্জশিট পেশ করেনি। উপরন্তু এখনও এটাই তারা জানতে পারেনি যে ভারী বিস্ফোরকটি কোথা থেকে এসেছিল, যেটা দিয়ে বিস্ফোরণ করানো হয়। যদিও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দাবি যে মুদাসির খান ওরফে মহম্মদ ভাই, জৈশ–ই–মহম্মদের কম্যান্ডার, যে এই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিল সে গত বছরের ১১ মার্চ এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে। অথচ এখনও এনআইএ ওই বিস্ফোরকটি কোথা থেকে এসেছিল তার সূত্র খুঁজে পায়নি এখনও। এনআইএ সূত্র জানিয়েছে, হামলায় অ্যামোনিয়াম নিট্রেট, নিট্রো–গ্লিসারিন এবং আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছিল। যদিও উচ্চ ক্ষমতাশালী বিস্ফোরকটি কোথা থেকে লেথপোরাতে এল তা এখনও জানা যায়নি।
হামলার পর জৈশের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যেখানে দেখানো হয় যে আদিল দার ফিঁদায়ে যে আত্মঘাতী হামলা করছিল। ভিডিওতে দেখানো হয় তার হাতে রয়েছে রাইফেল, বসে রয়েছে জৈশের ঘাঁটিতে। এনআইএ জানিয়েছে যে এটাই একমাত্র প্রমাণ ছিল যে হামলাকারী জৈশের হয়ে কাজ করেছে। ভিডিওতে আহমেদ দাবি করেছিল যে সে জৈশের ফিঁদায়ে স্কোয়াডে যোগ দেয় এই লক্ষ্য নিয়ে। যার জন্য তাকে একবছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। সে ভিডিওতে এও জানায় যে এই ভিডিও যখন প্রকাশ করা হবে তখন সে স্বর্গসুখে মত্ত থাকবে। যদিও এনআইএ তাদের দোষ ঢাকতে জানিয়েছে যে এই মামলার সমাধান করতে সময় লাগছে কারণ সন্দেহজনক সকলেই নিহত হয়েছে।
আত্মঘাতী জঙ্গি সহ মুদাসির, কেয়ারি মুফতি ইয়াসির, কামরান, সজ্জদ আহমেদ ভাট সহ হামলার সঙ্গে যুক্ত অন্য জঙ্গিরাও সেনার এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে। প্রসঙ্গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার ১২ দিন পর এনডিএ সরকারের নেতৃত্বে ভারতীয় সেনা বালাকোটে সার্জিক্যাল এয়ার স্ট্রাইক করে। যেখানে জৈশ ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়ার দাবি করে বায়ুসেনা।