জিতেনরামের পর কি পাসোয়ান! নির্বাচনের মুখে বিহার রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ
জিতেনরামের পর কি পাসোয়ান! নির্বাচনের মুখে বিহার রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আর তিন মাসও বাকি নেই। মহাগোটবন্ধন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝির দল হাম। রাজ্যের দলিত ও মহাদলিত রাজনীতিতে এসেছে নয়া মোড়। আর এহেন পরিস্থিতিতে এনডিও-তেও ভাঙেনর সুর বেজে গিয়েছে। বিজেপি-জেডিইউয়ের সঙ্গ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারে এলজেপি।
মহাজোটে কাছে বড় ধাক্কা জিতেনরামের
অক্টোবরে-নভেম্বর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট বা এনডিএ সরকারকে পরাজিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলা মহাজোটে কাছে বড় ধাক্কা জিতেনরাম মাঝির মহাগোটবন্ধন ত্যাগ করা।
মহাগোটবন্ধন ত্যাগের সিদ্ধান্তে নয়া সমীকরণ!
দলটির মুখপাত্র ড্যানিশ রিজওয়ান জানিয়েছেন, "হাম আর মহাজোটের অংশীদার হবে না। তারা মহাগোটবন্ধন ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" এবার তারা জোট বেঁধে নির্বাচনে অংশ নেবে না। অবশ্য বিহারের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জিতেনরাম মাঝি আবারও জেডিইউ নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র দিকেই যেতে পারেন।
জেডিইউ ছেড়ে আরজেডিতে শিল্পমন্ত্রী
এ সপ্তাহের প্রথমদিকেই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে বিহারের শিল্পমন্ত্রী শ্যাম রাজক জেডিইউ থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডিতে যোগ দিয়েছেন। ২০০৯ সালে জেডিইউতে যোগদানের আগে তিনি লালু প্রসাদ যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডির সঙ্গে ছিলেন। আবার তিনি পুরনো দলে ফিরলেন।
এনডিএতে বেসুরো বাজছে পাসোয়ানদের এলজেপি
এদিকে লোক জনশক্তি পার্টি বা এলজেপির সভাপতি চিরাগ পাসওয়ান অভিবাসী সংকট এবং কোভিড-১৯ মহামারী পরিচালনার বিষয়ে সমালোচনা করেছেন বিহার সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। রাজ্যপাল কোটা থেকে বিহার আইনসভা পরিষদে ১২ জনের মনোনয়নে এলজেপিকে স্থান না দেওয়ার জেডিইউের প্রতি অনীহা প্রকাশ করেছেন তিনি। পাসওয়ানরা ক্ষুব্ধও হয়েছেন এবং জেডিইউ সরকারের প্রতি সমর্থন তুলে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন।
জেডিইউ নতুন বন্ধুর প্রতি আস্থাশীল
জেডিইউ জানিয়েছে, রাজ্যের মানুষের সঙ্গে নেই এলজেপি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেনরাম মাঝির সঙ্গে নীতীশকুমার বন্ধুত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন, কারণ তিনি রামবিলাস এবং চিরাগের আশা করছেন না। তিনি একটি দলিত নেতার পক্ষেই থাকতে চান। দলিত ছেড়ে মহাদলিত জনসংখ্যার দিকেই হাত বাড়িয়েছেন নীতীশ কুমার।
একুশে পাখির চোখ জঙ্গলমহল, তৃণমূলের ট্রাম্পকার্ড অকেজো করতে বদ্ধপরিকর বিজেপি