
কংগ্রেসের 'চিন্তন শিবির'-এর নিট ফল শূন্য, বললেন প্রশান্ত কিশোর
তিনদিন ধরে রাজস্থানের উদয়পুরে আয়োজিত হয়েছিল কংগ্রসের চিন্তন শিবির৷ দেশের সর্বপ্রাচীন রাজনৈতিক দল এখন সময়ের ফেরে আন্ডারডগ। সেই কারনেই ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে আয়োজন করা হয়েছিল এই শিবিরের৷ তবে শিবিরের নিট ফল নাকি একেবারেই শূন্য। এমনটাই মনে করছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। কড়া ভাষায় কংগ্রেসের সমালোচনা করতে শোনা গেল পিকে-কে।

কংগ্রেসকে কটাক্ষ পিকে-র!
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি কংগ্রেস৷ উনিশের লোকসভা নির্বাচনে হার ছাড়াও হাতছাড়া হয়েছে একাধিক রাজ্য। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটেও তাদের ফলাফল এক কথায় কুৎসিত। এমতাবস্থায় দলের আগামীর নীতি কী হওয়া উচিত, কোন পথে এগোলে রাজনৈতিক সাফল্য পাওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে চিন্তন শিবিরের আয়োজন করেছিল ভারতের সর্বপ্রাচীন দলটি। মনে করা হয়েছিল এই শিবিরের ফলে নবদিগন্তের খোঁজ পাবে কংগ্রেস। তবে বাস্তবে নাকি এমন কিছুই হয়নি, চিন্তন শিবিরে কোনও লাভ হয়নি দলের। এমনটাই মনে করছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।

টুইটে কী লিখলেন প্রশান্ত?
প্রশান্ত কিশোর ট্যুইট করেন, 'উদয়পুর চিন্তন শিবিরের ফলাফল নিয়ে আমাকে ক্রমাগত মন্তব্য করতে বলা হচ্ছে। আমার মতে এর ফলে কোনও লাভের লাভ হয়নি৷ শুধুমাত্র কংগ্রেস নেতৃত্ব আরও কিছুটা সময় পেয়েছে৷ অন্তত আগামী গুজরাট নির্বাচন অবধি সময়সীমা পেয়েছে তারা।'

এর আগে জয়পুরের চিন্তন শিবির থেকে রাহুলকে নেতা বেছেছিল কংগ্রেস!
ন' বছর আগে জয়পুর চিন্তন শিবিরেই দলের নয়া সভাপতি হিসেবে রাহুল গান্ধীকে বেছে নিয়েছিল কংগ্রেস। মনে করা হয়েছিল, সোনিয়াপুত্রের হাত ধরে এগিয়ে যাবে কংগ্রেস। যদিও দেশের মানুষের রায় গিয়েছিল বিজেপির পক্ষে। কংগ্রেস এখনও নিজেদের হারানো জমি খুঁজে চলেছে। সেই লক্ষ্যেই ফের তিনদিন ব্যপী চিন্তন শিবিরের আয়োজন করেছিল তারা। উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী সহ অন্যান্য প্রবীণ নেতারা। আগামী লোকসভা নির্বাচনে ঠিক কোন পন্থায় লড়াই করবে দল, সংগঠনের খুঁটিনাটি সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয় এই শিবিরে৷
মোদীর নেপাল সফরকে ভারতের 'সফ্ট পাওয়ার' প্রয়োগ বলে খোঁচা চিনের