নেপালে চিনা দখলদারির ষড়যন্ত্র ফাঁস করে মৃত্যু সাংবাদিকের! নদীর ধারে মিলল দেহ
নেপালের এক সাংবাদিককে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল। প্রসঙ্গত, বলরাম বানিয়া নামক এই মৃত সাংবাদিকই প্রথম নেপালের এলাকা দখলের চিনা ষড়যন্ত্রের খবর প্রকাশ করেছিলেন কয়েকদিন আরে। খুব সন্দেহজনক ভাবে বলরামের দেহ এদিন পাওযা যায় মান্ডুর হাইড্রোপাওয়ার প্রোজেক্ট এলাকার কাছ দিয়ে বয়ে যাওয়া বাগমতী নদীর তিরে।
রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু নেপালি সাংবাদিকের
বাগমতীর তিরে দেহ উদ্ধার হওয়ার পর বলরামকে হেতাদুয়া হাসপাতালে পাঠানো হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে জানা গিয়েছে বালখু নদীর তিরে শেষ বার তিনি হেঁটে বেরিয়েছিলেন। স্থানীদের জিজ্ঞাসা করে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। এরপর ফোনটি সুইচ ওফ করে দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
নেপালের ৩৩ হেক্টর জমি দখল করেছে চিন
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই নেপালের প্রায় ১১টি জায়গায় সীমান্ত লঙ্ঘন করে ৩৩ হেক্টর জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে ৷ নেপাল কৃষিমন্ত্রকের সার্ভেতে এমনই তথ্য উঠে আসে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সংবাদপত্রে খবরটি প্রকাশ করেছিলেন বনিয়া। যারপরে হইচই পড়ে গিয়েছিল নেপালজুড়ে।
চিনা আগ্রাসনের শিকার নেপালের রুই গ্রাম
ঢোলাকিয়া, হুমলা, সিন্ধুপালচওক, শঙ্খুওয়াসাবা, গোর্খা ও সরুয়া জেলার ৬৪ হেক্টর জমি দখল করেছে চিন৷ এমনকী সীমান্ত এলাকার ৩৫টি স্তম্ভ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ নেপালের গোর্খা জেলার রুই গ্রাম দখল করেছে চিন সেনা৷ রুই গ্রামের ৭২টি ও দারচুলার ১৮টি পরিবার এখন চিনের দখলে৷
স্পিকটি নট ওলি
এদিকে চিনের এই অনধিকার প্রবেশ নিয়ে নেপালি কংগ্রেস সংসদের নিম্নকক্ষে চিন বিরোধী এক প্রস্তাব আনে। তবে এই বিষয়ে নেপাল সরকারের তরফে খুব একটা কিছু বলা হয়নি। যার জেরে জল্পনা বাড়ে বিষয়টি নিয়ে। এবার এই খবর প্রকাশ করা সাংবাদিকের মৃত্যুতে এই রহস্য আরও ঘনীভূত হল।
নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে নেপালের এলাকা দখল
তিব্বতের দিকে চিন রাস্তার কাজ করায় বেশ কয়েকটি নদী ও উপনদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে৷ পথ পরিবর্তন করে ধীরে ধীরে নেপাল সীমানার দিকে এগোচ্ছে সেগুলি। ফলে, নেপালের বেশ কিছু অংশ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। আর কিছুদিন যদি এভাবে নদী ও উপনদীগুলি পথ পরিবর্তন করতে থাকে তাহলে নেপালের আরও অনেক অংশ তিব্বতের দিকে চলে যাবে।
প্রচণ্ডের সামনে মাথা নোয়াচ্ছেন ওলি, চিন্তায় বেজিং! নেপালের রাজনীতিতে বড়সড় রদবদলের ইঙ্গিত