৪০টি মন্ত্রকের অকর্মণ্য–দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মীদের সনাক্ত করার নির্দেশ দিল মোদী সরকার
৪০টি মন্ত্রকের অকর্মণ্য–দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মীদের সনাক্ত করার নির্দেশ দিল মোদী সরকার
নরেন্দ্র মোদী সরকার তার ৪০টি মন্ত্রকের অকর্মণ্য ও দুর্নীতিগস্ত অফিসারদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিল এবং সেইসব আধিকারিকদের অবসর নিতে বাধ্য করা হবে। কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগের (ডপ্ট) পক্ষ থেকে মঙ্গলবার নীতি আয়োগ, কৃষি, অর্থ, মানবসম্পদ এবং আইন সহ ৪৫টি মন্ত্রক ও সরকারি দপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ডপ্টের পক্ষ থেকে মন্ত্রকগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে যে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে আধিকারিকদের নাম পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। ডপ্ট জানিয়েছে যে খুব কম সংখ্যক ক্যাডার কেন্দ্রের সিভিল সার্ভিসেস (পেনশন) বিধি ১৯৭২–এর ৪৮ তম নীতি ও এফআর ৫৬(জে)•এর আওতাভুক্তদের ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহ করেছে। এই নিয়মানুসারে জনস্বার্থে সরকার বাধ্যতামূলক অবসর নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে। ডপ্টের পদক্ষেপের ছ’মাস আগেই সরকার চিঠি লিখে সব মন্ত্রককে জানিয়েছিল যে দুর্নীতিগ্রস্ত ও অকর্মণ্য আধিকারিকদের প্রত্যেক মাসে সনাক্ত করে জোর করে অবসর নিতে হবে। ২২ জুন সরকার চিঠি লিখে সব মন্ত্রককে জানিয়েছিল এই নির্দেশের কথা। যদিও সূত্রের খবর, ডপ্টের নির্দেশের পরই সব মন্ত্রক নড়েচড়ে বসেছে এবং দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকদের তথ্য জমা দিতে শুরু করেছে।
সরকার
যে
তথ্য
চেয়েছে
ডপ্ট
চিঠিতে
মন্ত্রকদের
কাছ
থেকে
জানতে
চেয়েছে
যে
সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তিরা
কতবার
ছুটি
নিয়েছে,
তাদের
ওপর
কোনও
শাস্তি
আরোপ
করা
হয়েছে
কিনা
এবং
ওই
ব্যক্তির
গোটা
কর্মজীবনের
মূল্যায়ণ
কি,
তার
বিবরণ।
এছাড়াও
সরকার
সংশ্লিষ্ট
কর্মীদের
স্বাস্থ্যের
অবস্থাও
জানতে
চেয়েছে
এবং
তাদের
কাজের
ক্ষেত্রে
এর
কোনও
প্রভাব
রয়েছে
কিনা
তাও
জানতে
চায়
সরকার।
কর্মীরা
ঠিকমতো
পরিষেবা
দিচ্ছে
কিনা
বা
তারা
এই
পদটি
চালিয়ে
যাওয়ার
উপযুক্ত
কিনা
বা
সন্দেহের
কোনও
কারণ
আছে
কিনা
তা
জানতে
চাওয়া
হয়েছে।
এমনকী
তাদের
বিরুদ্ধে
কোনও
ধরনের
সম্পত্তি,
দুর্নীতি
বা
সন্দেহজনক
লেনদেনের
অভিযোগ
রয়েছে
কিনা
সেটার
বিষয়ে
তথ্য
চেয়ে
পাঠিয়েছে
সরকার।
দুর্নীতি–রোধে
জোর
এ
বছর
মোদী
সরকার
ক্ষমতায়
আসার
পর
দুর্নীতি
দেশ
থেকে
তাড়াতে
বদ্ধপরিকর
হন।
এ
বছরের
স্বাধীনতা
দিবসের
বক্তব্যে
মোদী
জানিয়েছিলেন
যে
দুর্নীতিকে
দেশ
থেকে
তাড়াতে
সরকার
বহু
পদক্ষেপ
গ্রহণ
করেছে।
নরেন্দ্র
মোদী
বলেন,
'আপনি
দেখে
থাকবেন,
গত
পাঁচ
বছরে
এবং
পুনরায়
ক্ষমতায়
আসার
পর
আমরা
সেইসব
ব্যক্তিদের
বহিষ্কার
করেছি
যারা
সরকারের
নাম
করে
প্রতারণা
করেছে।
যারা
দেশবাসীর
সঙ্গে
দুর্নীতি
করছে
তাদের
আমরা
জানিয়েছি
ব্যাগ
গুছিয়ে
চলে
যান,
আপনাদের
পরিষেবার
দরকার
নেই
দেশের।’
আগামী বছর ১ এপ্রিল থেকে গাড়ির মালিকের মোবাইল নম্বর সংযুক্ত বাধ্যতামূলক