স্টেশন থেকে গর্ভবতী মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করল দুষ্কৃতিরা, ঘটনায় ধৃত তিন
স্টেশন থেকে গর্ভবতী মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করল দুষ্কৃতিরা, ঘটনায় ধৃত তিন
সম্প্রতি একটি আবারও একটি ধর্ষণের ঘটনায় স্তম্ভিত দেশ৷ সংবাদমাধ্যমের খবর, একজন গর্ভবতী মহিলা, তার স্বামী এবং তিন সন্তানের সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের একটি রেলস্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন৷ রাতেয় তাঁদের ট্রেনে চড়ার কথা ছিল৷ অন্ধ্রপ্রদেশের বাপটলা জেলার একটি রেলস্টেশনের থেকে তিনজন পুরুষ এই গর্ভবতী মহিলাকে অপহরণ করে এবং গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ৷ দুষ্কৃতীরা মহিলার স্বামীকেও খারাপভাবে মারধর করেছে বলে জানা গিয়েছে৷
জানা গিয়েছে ভদ্রমহিলার স্বামী দুষ্কৃতীদের রুখতে একটি রেল পুলিশের সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু একজনকেও খুঁজে পাননি। ভিক্টিম মহিলাটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে পুরো ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে অন্ধ্র পুলিশ! ঘটনার জন্য একজন কিশোর সহ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটে যখন পরিবারটি কাজের সন্ধানে গুন্টুর থেকে কৃষ্ণা জেলায় যাচ্ছিল।
গর্ববতী মহিলার পরিবার অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলার বাসিন্দা। শনিবার রাতে, পাঁচ জনের পরিবার স্টেশনের বেঞ্চে ঘুমোচ্ছিলেন। সেইসময় তিনজন মাতাল এসে তাদের জাগিয়ে তোলে এবং মহিলার স্বামীর উপর হামলা চালায়। স্বামীকে বাঁচাতে ভদ্রমহিলা এগিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে রাজ্যের রাজধানী অমরাবতী থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে রেপালে স্টেশন থেকে টেনে নিয়ে যায়। ভদ্রমহিলার স্বামী সেই সময় কোনওমতে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে পালিয়ে গিয়ে রেলওয়ে পুলিশের সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করলেও সেই সময় স্টেশনে কোনো কর্মকর্তাকে খুঁজে পাননি বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে। কিছুক্ষণ পরে স্টেশনেরই পাশের ঝোপের মধ্যে ওই মহিলাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন মহিলা সুরক্ষা নিয়ে একাধিক সচেতনতা নিচ্ছে অন্ধ্র সরকার৷ সম্প্রতি অন্ধ্র প্রদেশ মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দিশা প্রকল্পের অধীনে দ্রুত-ট্র্যাক তদন্ত, বিচার এবং দোষী সাব্যস্ত করার পথে হাঁটছে৷ কিন্তু সেরকম জায়গা থেকেই তিন মদপ্য কিভাবে একজন গর্ভবতী মহিলাকে স্টেশন থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করল, কেনই বা কোনও রেলপুলিশের সাহায্য পেলেন না ওই দম্পতি সে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সহ একাধিক জায়গাতে প্রশ্ন উঠছে৷ একই সঙ্গে ধৃত দুষ্কৃতীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।