ভারতে বয়স্কদেরই বেশি প্রাণ কাড়ছে করোনা, বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট
ভারতে বয়স্কদেরই বেশি প্রাণ কাড়ছে করোনা, বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট
বর্তমানে গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে নতুন করে প্রায় ৭০০ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি মোট আক্রান্তের সংখ্যাও চার হাজার ছাড়িয়েছে। এমতাবস্থায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে বয়স্কদের উপরেই সবথেকে বেশি থাবা বসাচ্ছে করোনা।
করোনায় মৃত মধ্যে ৬৩ শতাংশই ষাটোর্ধ
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৬০ বছরের বেশি বয়সের মানুষদেরই মৃত্যুর হার সব থেকে বেশি। এখনও পর্যন্ত এই রোগের প্রকোপে গোটা দেশে যারা মারা গেছেন তাদের ৬৩ শতাংশই ৬০ বছরের বেশি বয়সের। পাশাপাশি ৩০ শতাংশ মৃত রোগীর বয়স ৪০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ৭ শতাংশের বয়স ৪০ বছরের কম।
একই চিত্র ইতালিতেও
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বয়স্কদের ঝুঁকিই যেহেতু সবচেয়ে বেশি তাই প্রায় প্রতিটি দেশ ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে বষষ্কদের শরীরে হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস ও ক্যানসার সহ নানা রোগ বাসা বাঁধে। ইতালিতেও বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় দেশটিতে করোনায় মৃত্যুহার বিশ্বে সর্বোচ্চ। দেশটিতে এই ভাইরাসে যারা মারা গেছেন, তাদের গড় বয়স ৭৮ বছর।
বয়স্কদের মধ্যে ক্রমেই কমে আসে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
যে কোনও ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি প্রধান অংশ হল শ্বেতরক্তকণিকা। বয়স্ক ব্যক্তিদের অস্থিমজ্জায় এই শ্বেতকোষগুলোর উৎপাদন কমে আসে। ফলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। এই কারণে শুধু করোনাভাইরাস নয়, যে কোনও ধরনের সংক্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন বয়স্করা। এইসময় শরীরে এক ধরনের আলোড়ন তৈরি হয়। যেটা সংক্রমণের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় অতিরিক্ত পরিমাণে কেমিক্যাল উৎপাদন করে। এমন লড়াই চালাতে গিয়ে শরীরে বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়। তাই ভাইরাসজনিত রোগের প্রকোপও এই সময় সবথেকে বেশি থাকে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।