জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করে বেঁচে ফিরতে পারবে না, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি সেনা প্রধানের
বৃহস্পতিবার ভোরে নাগরোটা জেলায় সুরক্ষা বাহিনীর হাতে খতম চার সশস্ত্র জঙ্গি। সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরভানে জানিয়েছেন যে এই অপারেশনের মাধ্যমে পাকিস্তানের কাছে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হল যে জঙ্গিরা যতবার অনুপ্রবেশ করে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করবে, ঠিক ততবারই এভাবে তাদের মৃত্যু হবে এবং তারা ফিরে যেতে সফল হবে না।

বান টোল প্লাজায় এনকাউন্টার
জম্মু-কাশ্মীর হাইওয়ের উপর বান টোল প্লাজার কাছে এনকাউন্টার হয়। সূত্রের খবর, জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে চারপাশ থেকে তাদের ঘিরে ফেলা হয়। দু'পক্ষের গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় চার সশস্ত্র জঙ্গি। সেনা প্রধান সেনাদের এই দুর্ধর্ষ কাণ্ডের জন্য তাঁদের সাধুবাদ জানান।

আপেল ভর্তি ট্রাকে লুকিয়ে ছিল জঙ্গিরা
জানা গিয়েছে এই জঙ্গিরা আপেল ভর্তি ট্রাকের মধ্যে লুকিয়ে ছিল। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে প্রচুর পরিমাণে সেনা, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও আধাসেনা বাহিনীর দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। জেনারেল নরভানে বলেন, ‘সুরক্ষা বাহিনীর এটি খুবই সফলতামূলক অপারেশন। এই অপারেশনের মাধ্যমে সব সুরক্ষা বাহিনীর মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের নিদর্শন দেখা গিয়েছে।'

নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র
নাগরোটায় চার জঙ্গি খতমের বিষয়ে সেনা প্রধান জানান, জৈশ-ই-মহম্মদের সদস্য ওই চার জঙ্গি। জঙ্গিদের নিয়ে সন্দেহজনক একটি ট্রাক আসার খবর পায় সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এসওজি ও সেনা। এরপরই তাঁরা সতর্ক হয়ে যান। এই ঘটনার পরই টোল প্লাজার কাছে ওই ট্রাকটি থামানো হয় এবং বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে ২০ নাগাদ জঙ্গি ও সুরক্ষা বাহিনীর মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয়ে যায়। তিন ঘণ্টা এনকাউন্টারের পর চার জঙ্গিকে খতম করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১১টি একে-৪৭ রাইফেল, ৩টে পিস্তল, ২৯টি গ্রেনেড এবং অন্যান্য ডিভাইস।

বড়সড় নাশকতার ঘটনা ঘটাতে অনুপ্রবেশ
এটা মনে করা হচ্ছে, জঙ্গিরা কোনও বড়সড় নাশকতার ছক কার জন্যই অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল এবং কাশ্মীর উপত্যকা থেকে তা শুরু করার উদ্দেশ্য ছিল।
উল্লেখযোগ্যভাবে পাকিস্তানে তৈরি হওয়া কিছু ওষুধ চার জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মমতা ক্ষমতায় এলে পুলিস-প্রশাসনের অপব্যবহার করে আসবেন, টুইটে আক্রমণ বাবুলের