অমরিন্দরের পদত্যাগে বার্তা, হয় গান্ধীদের মানো নয় কংগ্রেস নামক জাহাজ থেকে নামো
অমরিন্দরের পদত্যাগে বার্তা, হয় গান্ধীদের মানো নয় কংগ্রেস নামক জাহাজ থেকে নামো
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে 'এক ঢিলে দুই পাখি মারা', কিন্তু কংগ্রেসের গান্ধী এখানে একঢিলে দুইয়েরও বেশি পাখি মারলেন৷ পঞ্জাবে অমরিন্দর সিংয়ের মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ দলের বাকি বিবদমান গোষ্ঠীগুলিকে স্পষ্ট বার্তা দিল, 'গান্ধী পরিবারের নেতৃত্ব মেনে নাও নয়ত কংগ্রেস তোমার জন্য কঠিন জায়গা।' পঞ্জাব ছাড়াও আরও দুটি রাজ্যে কে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন তা নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ চলছে কংগ্রেসে। রাজস্থান ও ছত্তিসগড়ে ভালোভাবে সরকার চালাতে চাপে পড়তে হচ্ছে কংগ্রেসকে৷
রাজস্থানে অশোক গেহল বনাম টি এস, ছত্তিসগড়ে ভূপেশ বাঘেলা বনাম সিং দেও দ্বন্দ চরমে রয়েছে৷ একাধিকবার এই নেতাদের সঙ্গে দিল্লিতে মিটিংয় করেছেন খোদ রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী৷ কিন্তু বিরোধ আপাত মিটলেও পরে আবার একই বিরোধ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে৷ ক্ষমতা ও ইচ্ছামতো পদ না পাওয়া গেলে দল ছাড়ার হুমকিও দিয়েছেন এই গোষ্ঠীভুক্তরা৷ এতদিন রয়ে সয়ে সেই সব হুমকিকে সহ্য করলেও এবার দলের মধ্যের অন্তর্দ্বন্দ কড়া হাতে মেটাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে গান্ধী পরিবার৷ আর তারই প্রথম বলি অমরিন্দর সিং বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা!
তবে
শুধু
এরাই
নয়,
পরপর
দু'বার
রাহুলের
নেতৃত্বে
মোদীর
সামনে
বিপর্যস্ত
হয়েছে
কংগ্রেস
আর
তারপর
থেকেই
দলে
কপিল
সিবাল
থেকে
অনোক
বরিষ্ঠ
নেতাই
গান্ধী
পরিবারে
আধিপত্যের
বিরুদ্ধে
মুখ
খুলছিলেন৷
সে
সময়
অবশ্য
দলের
গুরুত্বপূর্ণ
৩০
জনকে
কড়া
না
হলেও
হালকা
শাস্তিও
দিয়েছিল
কংগ্রেস৷
কিন্তু
২০২৪
এর
নির্বাচনের
কথা
মাথায়
রেখে
এবার
আস্তে
আস্তে
ঘুঁটি
সাজাচ্ছে
গান্ধী
পরিবারের
ত্রয়ী।
সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়ঙ্কা
ত্রয়ীকে
অমান্যকে
করে
যে
কংগ্রেসের
অন্তত
কিছু
হবে
না
এই
বিশ্বাস
আরও
একবার
ভালোভাবে
কংগ্রেস
নেতা
কর্মীদের
মধ্যে
গেঁথে
দেওয়ার
কাজ
শুরু
করল
কংগ্রেস।
তবে
এই
মুর্হূতে
সবচেয়ে
বড়
প্রশ্ন
হল
কে
হবে
পঞ্জাবে
ক্যাপ্টেনের
উত্তরসূরি?
কংগ্রেসের
সামনে
এখন
দুটি
বিকল্প,
এক
পুরনো
কোনও
কংগ্রেসী
যারা
গান্ধী
পরিবারের
প্রতি
নিষ্ঠা
রয়েছে৷
দুই,
রাজনৈতিকভাবে
প্রচুর
উচ্চাভিলাষী
নভজোত
সিং
সিধু।
অনেকেই
মনে
করছেন
আগামী
বছর
পঞ্জাবে
নির্বাচন,
তার
আগে
আপাতত
সিধুকে
সভাপতির
দায়িত্ব
রেখেই
দলের
পুরনো
কাউকে
মুখ্যমন্ত্রী
করাই
ঠিক
হবে
কংগ্রেসের।
অন্যদিকে
নভজ্যোত
সিং
সিধুর
তুলনামূলকভাবে
পরিষ্কার
ইমেজ
এবং
শিখদের
মধ্যে
ভালো
সমর্থন
রয়েছে।
কর্তারপুর
করিডোরে
কৃষকদের
অবস্থানে
সিধুর
উপস্থিতি
অনেকের
প্রশংসা
কুড়িয়েছে।