২১দিনের লকডাউনের সময় বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে ওষুধ, জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
২১দিনের লকডাউনের সময় বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে ওষুধ, জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
করোনা ভাইরাসের জন্য গোটা দেশে লকডাউন পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে। মানুষ প্রয়োজনীয় পণ্য যতটা পারছে বাড়িতেই মজুত করে রাখছেন। কিন্তু অনেকের বাড়িতেই অসুস্থ ব্যক্তি বা বয়স্ক রয়েছেন, যাঁদের ওষুধের দরকার রয়েছে। কিন্তু ওষুধ ফুরিয়ে গেলে, লকডাউনের জন্য তাঁরা বাড়ির বাইরে যেতে পারছেন না বলে ওষুধও কিনতে পারছেন না। আবার অনেক জায়গায় স্থানীয় ওষুধের দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে যে মানুষের বাড়ির দোরগোড়ায় ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এবার গ্রাহকের দোরগোড়ায় আসবে ওষুধ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, ‘মহামারি কোভিড-১৯-এর জন্য যে জরুরি অবস্থার সূচনা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের বাড়ির দোরগোড়ায় এসে ওষুধ দিয়ে যাবেন খুচরো বিক্রেতারা এবং এটা একেবারেই জনস্বার্থে। কেন্দ্র সরকার এ বিষয়ে সন্তুষ্ট হয়েছে।'
এইচ বিভাগের ওষুধই ডেলিভারি করা হবে
দোরগোড়ায় যে সমস্ত ওষুধ দেওয়া হবে সেগুলি সবই এইচ বিভাগের, অর্থাৎ এই ওষুধগুলি চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া দেওয়া যায় না। এই জাতীয় ওষুধের বিক্রির ক্ষেত্রে গ্রাহককে প্রেসক্রিপশন হয় নিজে গিয়ে বা ই-মেলের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে হবে। এর ভিত্তিতেই ওষুধ পৌঁছে যাবে গ্রাহকের বাড়িতে। মন্ত্রকের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি ই-মেলের মাধ্যমে প্রেসক্রিপশন পেলেও তাঁকে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের সাথে নিবন্ধনের জন্য লাইসেন্স ই-মেল মারফত জমা দিতে হবে।
কিছুদিনের মধ্যেই ডেলিভারি হবে ওষুধের
মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশনটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৩০ দিনের মধ্যে ইস্যু করতে হবে তবেই সরবরাহ করা হবে ওষুধ। জরুরি ভিত্তিতে দরকার হলে ৭ দিন আগে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে প্রেসক্রিপশন দিলে ওষুধ সরবরাহ করা হবে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বিল বা ক্যাশ মেমো ই-মেল করে পাঠাতে হবে এবং সব লেনদেনের প্রমাণ যেন তাঁর কাছে থাকে। মন্ত্রকের মতে, এই দেশে কোভিড-১৯-এর পজিটিভ কেসের সংখ্যা ৬৪৯টি এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় ১১।